ঢাকা: সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রেডিওলিংকের মাধ্যমে রাজধানীর ভিআইপি এলাকায় বিস্তৃত হচ্ছে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) ব্যবসা। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ভিওআইপিবিরোধী অভিযানে তেমন সক্রিয় নেই র্যাব। মাঠে নেই বিটিআরসি কর্মকর্তারাও। ফলে অবৈধ ভিওআইপি বাণিজ্য এখন রমরমাভাবেই চলছে। রাজধানীর ভিআইপি এলাকা, বিভাগীয় ও বড় জেলা শহর ছাড়াও রেডিওলিংকের মাধ্যমে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা দেশের সীমান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।আর রাজধানীতে হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিওলিংক ব্যবহার করে ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসা করছেন অনেকে। রাজধানীর নিকেতন, গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিউ ডিওএইচএস, মিরপুর ডিওএইচএস, ধানম-ি ও উত্তরায় এই ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে অবাধে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ সম্পর্কে অবহিত থাকলেও কার্যকর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনার সাহসও দেখাতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা। খোদ সংসদেই অভিযোগ করা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাঘোব বোয়ালরাই এই ব্যবসার সাথে জড়িত। এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কিছু দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এর সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যবসার সাথে জড়িতরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।