রমরমা ব্যবসায় ”অবৈধ ভিওআইপি“

0
VOIP_Thebartaঢাকা: সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রেডিওলিংকের মাধ্যমে রাজধানীর ভিআইপি এলাকায় বিস্তৃত হচ্ছে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) ব্যবসা। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ভিওআইপিবিরোধী অভিযানে তেমন সক্রিয় নেই র‌্যাব। মাঠে নেই বিটিআরসি কর্মকর্তারাও। ফলে অবৈধ ভিওআইপি বাণিজ্য এখন রমরমাভাবেই চলছে। রাজধানীর ভিআইপি এলাকা, বিভাগীয় ও বড় জেলা শহর ছাড়াও রেডিওলিংকের মাধ্যমে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা দেশের সীমান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

আর রাজধানীতে হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিওলিংক ব্যবহার করে ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসা করছেন অনেকে। রাজধানীর নিকেতন, গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিউ ডিওএইচএস, মিরপুর ডিওএইচএস, ধানম-ি ও উত্তরায় এই ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে অবাধে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ সম্পর্কে অবহিত থাকলেও কার্যকর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনার সাহসও দেখাতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা। খোদ সংসদেই অভিযোগ করা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাঘোব বোয়ালরাই এই ব্যবসার সাথে জড়িত। এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কিছু দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এর সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যবসার সাথে জড়িতরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।

গত কয়েক মাসে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত সন্দেহে প্রায় ৭১ লাখ সিম ও এক লাখেরও বেশি আইপি অ্যাড্রেস বন্ধ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে অবৈধ ব্যবসায়ীরা যুক্ত হচ্ছেন আরও উন্নত প্রযুক্তির সাথে। এ ব্যবসা এখন আর মুঠোফোন সংযোগ বা ল্যান্ডলাইনে সীমাবদ্ধ নেই। যুক্ত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রেডিওলিংক। পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমেও এ ব্যবসা চলছে। একদিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অন্যদিকে ভিআইপিদের সংশ্লিষ্টতায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছে বিটিআরসি। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর তিন মাসেই সরকার রাজস্ব হারিয়েছে ৩১৬ কোটি টাকা।
বিটিআরসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর ভিআইপি এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি চিহ্নিত হয়েছে যেগুলোতে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু এই বাড়িগুলো ভিআইপি ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত অনেকের। এছাড়া গুলশান-২ এলাকায় একটি বাড়িকে তারা চিহ্নিত করেছেন যেটি থেকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার অনেকাংশ নিয়ন্ত্রণও হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাতারাতি কাঁচা টাকা কামানোর অন্যতম মাধ্যম অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা এখন রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ভিআইপি এলাকায় ভিআইপি হিসেবে পরিচিত কিছু ব্যক্তির ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টে এই ব্যবসা অবাধে চলছে। ভিআইপি ব্যক্তির ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট হওয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ‘অবৈধ ভিওআইপি অনুসন্ধান’ তদন্ত কমিটি এসব ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টে অভিযানের সাহস দেখাতে পারছে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে অভিযান করলেই সংশ্লিষ্টদের পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন ঝামেলায়। অভিযানের সাথে সাথে বিশেষ কিছু জায়গা থেকে ফোন চলে আসছে এবং জড়িতদের ছেড়ে দেয়াসহ পরবর্তীতে ওইসব স্থানে অভিযানেও থাকছে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা।
বিটিআরসি ও তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন এই ব্যবসা রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে বিভাগীয় এবং দেশের বড় বড় শহরগুলোতে। এই ব্যবসা এখন চলছে অত্যাধুনিক ‘রেডিওলিংক’ প্রযুক্তির মাধ্যমে। এদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ভিওআইপিবিরোধী অভিযানে তেমন সক্রিয় নেই র‌্যাব। মাঠে নেই বিটিআরসি কর্মকর্তারাও। ফলে অবৈধ ভিওআইপি বাণিজ্য এখন রমরমাভাবেই চলছে। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী ব্যবসায়ীরা জানান,  রেডিওলিংকের মাধ্যমে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বেশি হচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। তবে রাজধানীতেও হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিওলিংক ব্যবহার করে ভিওআইপির অবৈধ ব্যবসা করছেন অনেকে। একদিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অন্যদিকে ভিআইপিদের সংশ্লিষ্টতায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছে বিটিআরসি।
অনেক ক্ষেত্রে অবৈধ ভিওআইপি কল টার্মিনেশন শনাক্ত করতেও ব্যর্থ হচ্ছে বিটিআরসি। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সেক্টরের কিছু লোককে ম্যানেজ করে থাকে। ফলে কল লিস্ট মুছে ফেলাসহ আধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে অবৈধ ভিওআইপি কল টার্মিনেশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারকে ফাঁকি দিতে উন্নতমানের সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই প্রযুক্তিকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে স্বল্পমূল্যে ব্যান্ডউইডথ কিনে ১/২ বা আরও বেশি ই-ওয়ান ভয়েস কানেক্টিভিটি ব্যবহার করে অবৈধ পথে বৈদেশিক কল আদান-প্রদান করছেন। নিয়ম অনুযায়ী বিদেশ থেকে কোনো কল বৈধ পথে এলে টেলিফোন নম্বরটির আগে অবশ্যই যোগ চিহ্ন থাকবে। কিন্তু রেডিওলিংকের মাধ্যমে অবৈধ পথে আসা কলগুলোতে যোগ চিহ্ন পাওয়া যাবে না। ‘কল রেস্ট্রিকটেড’, ‘আননোন কল’, ‘ফরেন কল’, ‘নাম্বার রেস্ট্রিকটেড’ বা ৯৯৯০০০৯৯৯০৯৯৯, ০০৯৯০১৫৫৯৯৬৫১, ৯৯৮৭৮৯৬৭০৯৭৬৫ বা ভুয়া বিদেশি নম্বর বা বিভিন্ন দেশের কোড নম্বরের সঙ্গে ইচ্ছামতো নম্বর বসিয়ে এসব অবৈধ বৈদেশিক কল সংযোগ দেয়া হয়। খুবই উন্নতমানের সফটওয়্যার দিয়ে এসব বৈদেশিক কলে প্রেরকের ফোন নম্বর প্রদর্শনে বাধা দেয়া হয়। ফলে বিদেশি কল এলেও প্রেরক নম্বরটির স্থলে বাংলাদেশি যে কোনো মোবাইল নম্বর প্রদর্শন করা হচ্ছে।
যদিও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও অবৈধ ভিওআইপি কল টার্মিনেশন বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দেয়া হয়। এক চিঠিতে যত শিগগির সম্ভব ভিওআইপি মনিটরিংয়ের জন্য সিএমএস স্থাপন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সঙ্গে অবৈধ ভিওআইপি কল টার্মিনেশন বন্ধের জন্য মহাখালী ও মগবাজার টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তাদের প্রতি নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়। এরপর কিছু অভিযান হলেও দিনে দিনে এই ব্যবসার আরও বিস্তার হয়েছে। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, অবৈধ ভিওআইপি বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৭১ লাখ সিম এবং লক্ষাধিক আইটি অ্যাড্রেস। বিটিআরসির নিয়ম অনুসারে দেশের কোনো মুঠোফোন নম্বরে ২৪ ঘণ্টায় ২০০ মিনিটের বেশি মিনিট কল হলে তা অবৈধ ভিওআইপির ব্যবহার সন্দেহে বন্ধ করা হয়। আর ইন্টারনেট সংযোগে টানা ৫ ঘণ্টা আপলোডিং ও ডাউনলোডিং সমান মাত্রায় চালু থাকলে সেটিকেও বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ ছাড়াও কয়েকটি মোবাইল অপারেটরকে জরিমানাসহ ৫টি পিএসটিএন অপারেটর ও ৩২টি আইএসপি অপারেটরের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। তবে ভিওআইপি বন্ধে শুরু থেকেই টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্যোগগুলো বরাবরই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনার সাথে জড়িত থাকায় গত ২৩ ডিসেম্বর দুটি বেসরকারি টেলিফোন প্রতিষ্ঠান (পিএসটিএন) ধরা পড়ে। তাদের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়। আইন অনুযায়ী তাদের ৫০০ কোটি টাকা করে জরিমানা করার কথা। কিন্তু বিটিআরসি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এতে সরকারের ক্ষতি হয় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) অফিসের নিরীক্ষায় এ অনিয়ম ধরা পড়ে।
এছাড়া র‌্যাবের সহায়তায় বিটিআরসি ছোটখাটো কিছু অবৈধ ভিওআইপি কল টার্মিনেশন ব্যবসায়ীর কর্মচারী ও সরঞ্জাম আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে রাঘববোয়ালরা। দুই বছর আগে অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে ‘অবৈধ ভিওআইপি অনুসন্ধান’ শীর্ষক তদন্ত কমিটি গঠন করে বিটিআরসি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিটিআরসির কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল ও মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি টেলিটকের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে সিংহভাগ অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা। গত কয়েক বছর (২০০৮-২০১৪) পর্যন্ত বিটিআরসির মনিটরিং বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবৈধ ভিওআইপির শীর্ষে ছিল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুই টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল ও টেলিটক। প্রতিষ্ঠান দুটিকে বারবার সতর্ক করা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এ নিয়ে বিটিআরসি, টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একসঙ্গে অনুসন্ধান শুরু করে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিটিসিএল ২৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাও করে দুদক। কিন্তু রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যায়।
গত ২৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাঘববোয়ালরাই জড়িত। জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালি বিধির ৭১ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশে তিনি এ অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি ওই সব দুর্নীতিবাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নোটিশে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ভিওআইপি ব্যবসার লাইসেন্সের অপব্যবহার করে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী রাজধানীর বিভিন্ন ঘর-বাড়ি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি সরঞ্জাম স্থাপন করে বৈদেশিক কল চুরি করে যাচ্ছে। এসব অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাঘববোয়ালরা জড়িত। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কিছু দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারীও এর সঙ্গে জড়িত। নোটিশে তিনি ওইসব অবৈধ লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। ভিওআইপি লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন ১৩ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। এর পরিমাণ মাসে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা এবং বছরে ৫ হাজার কোটি টাকা।
বিটিআরসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, রাজধানী ছাড়িয়ে ভিওআইপি ব্যবসা অনেক আগেই দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন এই ব্যবসা আর মুঠোফোন সংযোগ বা ল্যান্ডলাইন দিয়ে করাতেই সীমাবদ্ধ নেই। যুক্ত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি রেডিও লিংক। পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমেও এ ব্যবসা চলছে।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি পরীক্ষামূলকভাবে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট ৩ সেন্ট থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫০ সেন্ট করেছে। প্রথম তিন মাসেই (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) ৩১৬ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। অবশ্য এই সময়সীমা ৬ মাসের জন্যই ছিল।
বিটিআরসি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, সরকারের একটি নির্দিষ্ট মহলের জোড়াজুড়িতে কল টার্মিনেশন রেট কমানো হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানো হয়েছিল, কলরেট কম হলে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধ হবে। তবে বাস্তবে হয়েছে উল্টো। গত বছরের জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ খাতে সরকার মোট ২০ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ১০২ মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় করে। অন্যদিকে কলরেট কমানোর পর ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৫ কোটি ৬৪ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৭ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। (ইনকিলাব)
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More