ছেলের জন্য উপহার কিনতে পর্নো ছবিতে মা! (ভিডিও)

0

megan-claraবড়দিনে ছেলের উপহারের আবদার মেটাতে পর্নো ছবিতে অভিনয় করেছেন এক মা। এই খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে। ইনডিপেনডেন্টের প্রকাশিত খবরে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথের অধিবাসী ২০ বছর বয়সী ‘সিঙ্গল মাদার’ মেগান ক্লারার ছয় বছরের একটি ছেলেসন্তান আছে। নাম অ্যাস্টন। প্রতি বড়দিনেই যার মন খারাপ থাকে। কারণ, মা তাকে মনমতো উপহার কিনে দিতে পারেন না। তাই ছেলের উপহারের বায়না মেটাতেই পর্নো ছবিতে অভিনয় করতে শুরু করেন তিনি।

ক্লারা জানান, এখন তিনি প্রতি পর্নো দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য ৫০০ পাউন্ড আয় করেন। আর সেই আয় দিয়েই এবারের বড়দিনে ছেলের গিফটের জন্য এক হাজার ৫০০ পাউন্ড বরাদ্দ করেছেন। আগে যা ছিল মাত্র ১০০ পাউন্ড। এবারে তিনি ছেলের চাহিদামতো একটি বাইসাইকেল কিনে দিয়েছেন। শুধু বাইসাইকেলই নয়, নতুন খেলনা, জামা, চকোলেটে ঠাসা ছেলে অ্যাস্টনের ঘর। যা নিয়ে খুব খুশি ছেলে।

(কিছু ছবি)

ক্লারা জানান, ছোটবেলাতেই তাঁর স্বপ্ন ছিল গ্ল্যামার জগতে নামকরা মডেল হওয়ার। এরপর মেগান যখন ১৪ বছরের কিশোরী, তখন তাঁর প্রেমিকের ঔরসে কোলে আসে অ্যাস্টন।

ক্লারা বলেন, ‘আমি চাইলে আবার স্কুলে যেতে পারতাম। নিজের পড়াশোনা নিয়ে থাকতে পারতাম। কিন্তু ছেলেকে বড় করার স্বপ্নে, নিজের দিকে খেয়াল দিইনি। সব সময় চেষ্টা করেছি, ছেলেকে সেরা জিনিসটা দিতে। সেভাবেই ওকে বড় করছি। অভাবটা ওকে বুঝতে দিইনি কখনো। কিন্তু ওর স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ওর বন্ধুরা ক্রিসমাসে দামি দামি উপহার পেত। আমি সেখানে ১০০ পাউন্ডও খরচ করতে পারতাম না। এই সামান্য টাকায় নতুন জামা কিনব, চকোলেট কিনব না খেলনা, বুঝে উঠতে পারতাম না। ছেলেও মন খারাপ করত। আর তার জন্য এই পর্নো ছবিতে অভিনয়ের পথ বেছে নিই।’

ক্লারার কথায়, ‘আমি জানি পর্নো ছবিতে অভিনয় লোকে ভালো চোখে দেখে না। কিন্তু আমার এ নিয়ে কোনো হীনমন্যতা নেই। আমরা মা-ছেলে আজ ইচ্ছামতো দামি জামাকাপড় পরতে পারি, চাইলে মাসে কয়েক দিন বাইরে ইচ্ছামতো খেতে পারি। এতেই আমরা খুশি। অন্যরা কে কী বলল, পরোয়া করি না। যে যতই কুত্‍‌সা করুক, দিনের শেষ এটা জানি, আমি একজন সেরা মা।’

ইনডিপেনডেন্টের খবরে আরো জানানো হয়, ক্যামেরার সামনে নিয়ত নিজেকে উন্মুক্ত করে ক্লারা এখন ছেলের জন্য নিয়মিতই কিনে আনছেন দামি উপহার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More