কবি শফিকুল ইসলাম যাকে সব সময় মনের ফ্রেমে বেঁধে রাখা যায়…

0

Shofiqul Islamমহান সাধক ব্যক্তিরা বলে গেছেন পৃথিবীতে এসেছিস একটি দাগ রেখে যা। আসলি আর গেলি এমনটি যেন না হয়। তাই তো বিজ্ঞ জ্ঞানী গুণী ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ আসা-যাওয়ার এই দুনিয়ায় কিছু না কিছু রেখে যতে চান। তবে কর্মে একনিষ্ঠ, দায়িত্ববোধ, সঠিক সাধনা ও সাফল্য থাকলে অগ্রযাত্রাকে কিছুতেই কেউ আটকিয়ে রাখতে পারে না। যেমন পারেনি ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামকে। কিছু কিছু মানুষকে দেখলেই মন থেকে শ্রদ্ধা সম্মান এবং গভীর ভালাবাসা এসে যায়। তাদেরকে দেখা মাত্র মনটা ভরে যায়। বারবার দেখতে ইচ্ছে করে। কেবলি তার কথা শুনতে মন চায়। মনের গহীন অরণ্য হতে ভেসে আসে শুধু তাদের কথা। প্রশাসন মহলে তার সততা ও নিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।
মূলত, ব্রাম্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে তার আগমন যেমন একদিকে ব্রাম্মণবাড়িয়ার মানুষকে করেছে আশাবাদী, অপরদিকে প্রাশসন মহলের ভাবমূর্তি করেছে উজ্জল থেকে আরো উজ্জলতর। ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের সদালাপী, মানবসেবী, কল্যাণকামী এক মহান মানুষ। তিনি ব্রাম্মণবাড়িয়াতে প্রশাসন মহলে যোগদান করার পর পরই সব কিছুরই বদল ঘটে গেছে এই নতুনভাবে। এই বিরল চরিত্রের ব্যক্তিটি সত্যিই বাংলাদেশের গর্ব। জাতির কৃতি সন্তান।
তার আরেকটি পরিচয় আছে যা অত্যন্ত গর্বের সাথে বলেও আরো বলতে ইচ্ছা হয়। তিনি হলেন একজন বিরহ কবি। যে কবি মানুষের মনের কথা , প্রাণের কথা, আত্মার কথা, হৃদয়ের কথা, জীবনের কথা মধুময় প্রেমের কথা তার কবিতায় তুলে ধরতে জানেন- তিনিই আসল কবি। যে কোন মানুষ তার কবিতাগুলো যদি পড়ে তার সপন্দনে অবশ্যই দাগ কাটবে এবং তার কবিতাগুলি বারেবারে পড়তে ইচ্ছা করবে। মানুষের জীবনের বাস্তব কথা নিয়ে এরকম জীবন্ত কবিতা কত জনে লিখতে পারে তা আমার জানা নেই, তবে বিরহ কবি শফিকুল ইসলাম যে তার কবিতা বইগুলির মাঝে মানুষের সর্বস্ব দিক নিয়ে যে কবিতাগুলি তিনি উপস্থাপন করেছেন এতে সত্যিই তিনি একজন বিরহের কবি। যে কবিকে লালন করা যায়, যে কবিকে সব সময় মনের ফ্রেমে বেঁধে রাখা যায়, যে কবিকে সবসময় অস্তিত্বের মাঝে খুঁজে পাওয়া যায়, যে কবিকে জীবনভর অনুভূতির মাঝে বাঁচিয়ে রাখা যায় আর সেই কবি হলেন শফিকুল ইসলাম। তার কবিতাগুলি পড়লে শরীর ও মন চমক দিয়ে উঠে, কোন কোন কবিতায় চোখের জল ঝরায়। আবার কোন কোন কবিতায় অতীতকে স্মরণ করায়।
আবার কোন কোন কবিতায় তিনি যে সত্যিকার অর্থেই একজন দেশপ্রেমিক তা সপষ্ট হয়ে উঠে। এই কবিতাগুলির বইয়ের মাঝে শফিকুল ইসলাম আজীবন বেঁচে থাকবেন ইতিহাস হয়ে। তার সমপর্কে লিখতে গিয়ে আরো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানসী কবিতা বইয়ের নিন্দুকের প্রতি নিবেদন কবিতার কয়েকটি লাইন মনে পড়ল।
হউক ধন্য তোমার যশ
লেখনী ধন্য হোক,
তোমার প্রতিভা উজ্জ্বল হয়ে
জাগাক সপ্তলোক।
আর কবিতার লাইনগুলির মতই চলছে কবি শফিকুল ইসলামের জীবন। তিনি শৈশব থেকে মেধাবী,ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠার অন্যতম আদর্শ ব্যক্তি। তিনি অর্থনীতি ও ইসলামিক স্টাডিজ-এ স্নাতকোত্তর। ১৯৮৯ সালে বিসিএস(প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। মেধাবী শফিকুল ইসলাম ছাত্রাবস্থা থেকে কাব্যচর্চা করে আসছেন। লেখক হিসাবে তার আত্মপ্রকাশ প্রকাশ ঘটে সিলেটস্থ মুসলিম সাহিত্য সংসদের পাঠাগার চত্বরে কবিতা পাঠ আসরের মাধ্যমে। সে থেকে তিনি দেশী-বিদেশী কবি লেখক-লেখিকা ও গুণীজনদের অনুসরণীয় লেখনীর মানসিকতা আরো প্রসারিত হয়। ইতোপূর্বে তিনি বেশ কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান থেকে সাহিত্য পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ পরিষদ সাহিত্য পুরষ্কার ও লেখক সম্মাননা পদক-২০০৮ লাভ করেছেন। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভূক্ত গীতিকার। ইতোমধ্যে তার বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। যেমন, এই ঘর, লোকালয়(২০০০) একটি আকাশ ও অনেক বৃষ্টি (২০০৪) শ্রাবণ দিনের কাব্য(২০০৫) তবুও বৃষ্টি আসুক (২০০৭) মেঘ ভাঙ্গা রোদ্দুর (২০০৮) দহন কালের কাব্য(২০১১), প্রত্যয়ী যাত্রা(২০১২) । তিনি পেশাগত কারণে একজন ব্যস্ত মানুষ বটে। জানা গেছে তিনি চাকুরী জীবনে সততা ও নিষ্ঠার সালে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখিতে নিজকে উৎসর্গ করে চলেছেন।
মানুষ মাত্রেই মরণশীল। এই পৃথিবীতে অনেক লোক এসেছে, অনেক লোক চলে গেছে। মানুষ স্মৃতিময় হয় তার কর্মকান্ডে। জনাব শফিকুল ইসলামও রেখে যাচ্ছেন তার সুকর্মের স্বাক্ষর। মানুষ তাকে মনে রাখবে চিরদিন। কবি, লেখক, সাহিত্যিক শফিকুল ইসলাম শত ব্যস্ততার মাঝেও জাতির আলো পত্রিকায়ে যে গুরত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার প্রদান করেন তা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।
জাতির আলোঃ আপনি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশের স্বনামধন্য আদালতসমূহে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একজন নিরপেক্ষ বিচারক হিসেবে আপনার গ্রহণযোগ্যতা অনেক শীর্ষে। এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কি?
শফিকুল ইসলামঃবিচারকার্যে সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখলে বিচার প্রার্থীদের মধ্যে বিচারকের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। ফলে বিচারিক সিদ্ধান্ত তারা সহজেই গ্রহণ করে। বিচারকার্যে আন্তরিকতা, সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছি বলেই গ্রহণযোগ্যতার শীর্ষে পৌঁছাতে পেরেছি। মামলার পক্ষ-বিপক্ষ নির্বিশেষে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমার অঙ্গীকারের সামান্য বাস্তবায়ন করে আমি বেশ আত্মতৃপ্তি পেয়েছি।
জাতির আলোঃ চাকরী জীবনে পেশাগত ক্ষেত্রে স্মরণীয় ঘটনা কি?
শফিকুল ইসলামঃ চাকুরীতে যোগদানের পর অন্যান্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীতে আমাদের ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ চলছিল। প্রশিক্ষণের এক পর্যায়ে আমাদের চট্টগ্রাম নৌ-বাহিনী নেভাল বেইস বিএনএস ঈশা খান- এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নৌ-বাহিনী গানবোটে করে পতেঙ্গা গভীর সমুদ্রে আমাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎ করে সমুদ্রে ঝড় উঠে। আমরা তখন লাইফ জ্যাকেট পড়ে নিই। সাগরের উত্তাল তরঙ্গ তখন আমাদের বোটের ডেকের উপর দিয়ে এপাশ থেকে ওপাশে গড়িয়ে যাচ্ছিল। সেই উত্তাল সমুদ্র ভ্রমণের রোমাঞ্চের পাশাপাশি জীবন মৃত্যুর যুগপৎ অনুভূতি আজও মনে হলে শিহরিত হই।
জাতির আলোঃ একটি কথা প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে যে দেশের নিরীহ গরীব অর্থহীনেরা সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। আপিন একজন বিচারক হিসেবে এ অভিযোগটি কিভাবে দেখছেন?
শফিকুল ইসলামঃ এই অসম সমাজ ব্যবস্থায় মানুষ প্রতি মুহূর্তে বৈষম্যের শিকার। যেখানে পুরো সমাজ ব্যবস্থা অন্যায় অসম ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে সেখানে আদালতের সীমিত গন্ডির মধ্যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব ও অবাস্তব। রাষ্ট্র যেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে বেঁচে থাকার জন্য কেউ যদি অপরাধে জড়িয়ে সেক্ষেত্রে তাকে অর্থনিতিকভাবে পুনর্বাসন না করে শাস্তি দেয়া কতটুকু যুক্তিসংগত? আদালত ও কারাগার পরিদর্শন করলে মনে হবে গরীব মানুষেরাই বুঝি অপরাধী। ধনীদের তুলনায় গরীবরাই কেন আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে, তা অনুসন্ধান করলে দারিদ্রতা তথা সমপদের অসম বন্টনকেই একটি বড় কারণ বলে চিহ্নিত করা যায়।
জাতির আলোঃ যতদূর জেনেছি কর্মজীবনের বাইরে আপনি একজন লেখক। স্বভাবতই আপনি ব্যস্ত।আপনার ব্যক্তিগত জীবন সমপর্কে জাতির আলোকে কিছু বলুন?
শফিকুল ইসলামঃ প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসাবে আমি স্বভাবতই একজন কর্মব্যস্ত মানুষ। চাকুরী জীবনের কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি অবসরে বই পড়া, গান শোনা, সাহিত্য চর্চা ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম দেখে সময় কাটে।
জাতির আলোঃ আপনার লেখালেখির শুরুটা কিভাবে?
শফিকুল ইসলামঃ শৈশব জীবনে স্কুল ম্যাগাজিনে লেখালেখির প্রচেষ্টা থেকে। প্রথম জনসমক্ষে প্রকাশ সিলেটের মুসলিম সাহিত্য সংসদ-এর পাঠাগার চত্বরে কবিতা পাঠের আসরের মাধ্যমে।
জাতির আলোঃ কাব্যচর্চার শুরুতে কোন কবিকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন?
শফিকুল ইসলামঃ বিশ্বকবি রবীবন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
জাতির আলোঃ মুক্ত সাহিত্য চর্চার জন্য দেশে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা বিরাজ করছে কি?
শফিকুল ইসলামঃ মুক্ত সাহিত্য চর্চার জন্য মুক্তসমাজ ব্যবস্থার প্রয়োজন। প্রথাগত সমাজে ধর্মীয় বাঁধা, রাজনৈতিক ও সামাজিক বাধা মুক্ত সাহিত্য চর্চার অন্তরায়।
জাতির আলোঃ একজন কবি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পাথর্ক্য কি?
শফিকুল ইসলামঃ সাধারণ মানুষ চোখ দিয়ে দেখে আর সেখানে একজন কবি দেখেন অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে।
জাতির আলোঃ দেশ ও দেশবাসীর কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?
শফিকুল ইসলামঃ মুক্তিবুদ্ধি চর্চার অনুকুল পরিবেশ।
জাতির আলোঃ আপনার প্রিয় লেখকের নাম কি?
শফিকুল ইসলামঃ কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
জাতির আলোঃ কবি, সাহিত্যিক, লেখক হবার জন্য মুল সহায়ক হিসেবে কি কি প্রয়োজন?
শফিকুল ইসলামঃ অন্তর্দৃষ্টি ও সৃষ্টির তাড়না।
জাতির আলোঃ আপনি তো সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন কোন বিষয়ে?
শফিকুল ইসলামঃ সাহিত্যের কাব্য শাখাকে।
জাতির আলোঃ একজন মূলধারার লেখক হতে গেলে কি ধরনের বিশেষ গুণাবলী থাকা প্রয়োজন?
শফিকুল ইসলামঃ ব্যাপক পঠন-পাঠন, বিরতিহীন অনুশীলন ও আন্তরিক প্রয়াস।
জাতির আলোঃ কবিতার ভাষা ও মুখের ভাষা এক হওয়া কি প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
শফিকুল ইসলামঃ কবিতা হচ্ছে বিশেষ মুহুর্তের শ্রেষ্ঠতম আবেগময় প্রকাশ- কাজেই বিশেষ মুহূর্তে এক হতে পারে, সকল সময় নয়।
জাতির আলোঃ প্রথম লেখা প্রকাশের অনুভূতি কি?
শফিকুল ইসলামঃ নিজের অস্তিত্ব নতুনভাবে অনুভবের আনন্দ।
জাতির আলোঃ চাকুরী জীবনের শেষে জনসেবা করার উদ্দেশ্যে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন কি?
শফিকুল ইসলামঃ চাকুরী জীবনেও জনসেবার প্রচূর সুযোগ রয়েছে। জীবনব্যাপী মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থেকে এই জন্মের ঋণ শোধ করতে চাই; তা চাকরীজীবি/জনপ্রতিনিধি/রাষ্ট্রনায়ক যেকোন পদে থেকেই হোক।
জাতির আলোঃ আপনার জীবনে এমন কোন স্মৃতি আছে যা আজও আপনার স্মরণে আছে ?
শফিকুল ইসলামঃ না, স্মৃতির কথা আজ নয়, আবার যদি জীবনে স্মৃতি-জাগানিয়া কোন সন্ধ্যা আসে জীবনে সেদিন নিশ্চয়ই বলব।
জাতির আলোঃ আপনার চাকরী জীবন কত বছর চলছে?
শফিকুল ইসলামঃ পনের বছরের অধিককাল।
জাতির আলোঃ কোন উপদেশ আপনি মেনে চলেন ও অপরকেও উপদেশ দেন মেনে চলতে?
শফিকুল ইসলামঃ মানুষের প্রতি সদয় হতে।
জাতির আলোঃ লেখালেখি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
শফিকুল ইসলামঃ আরো বেশি বেশি লেখতে চাই, মানুষের না বলা কথা আরো বেশি বেশি বলতে চাই।
জাতির আলোঃ আপনার লেখা কোন বইটি আপনার সবচেয়ে প্রিয়?
শফিকুল ইসলামঃ তবু ও বৃষ্টি আসুক/ শ্রাবণ দিনের কাব্য/ দহন কালের কাব্য।
জাতির আলোঃ আপনি সবচেয়ে কোন বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন?
শফিকুল ইসলামঃ প্রেম ও দ্রোহ।
জাতির আলোঃ কবিদের দেশের প্রতি কর্তব্য কি?
শফিকুল ইসলামঃ মানুষের মধ্যে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা জাগিয়ে রাখা।
জাতির আলোঃ আপনি কি মনে করেন কবি সাহিত্যিকরা দেশ ও সমাজের পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে?
শফিকুল ইসলামঃ সাহিত্য যেহেতু সমাজ ও মানুষকে নিয়ে সেহেতু দেশ ও সমাজ পরিবর্তনে কবি-সাহিত্যিক অগ্রণী ভূমিকা পালনে সক্ষম।
জাতির আলোঃ জাতির আলো পত্রিকার দীর্ঘায়ু কামনায় আপনার মূল্যবান উপদেশ দেন।
শফিকুল ইসলামঃ জাতির আলো কে কালোত্তীর্ণ হতে হলে শুধু এলিট শ্রেণীকেই নয় সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
জাতির আলোঃ কোন জিনিস দেখলে আপনি বেশি খুশি হন এবং কোন জিনিস দেখলে আপনি দুঃখ পান?
শফিকুল ইসলামঃ পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষের হাসিমাখা মুখ যা আমাকে স্বর্গীয় আনন্দ দেয়- মানুষের ব্যথিত উদ্বিগ্ন মুখ আমাকে খুবই কষ্ট দেয়।
জাতির আলোঃ একজন ভাল মানুষের কোন কোন গুণাবলী থাকা দরকার বলে আপনি মনে করেন?
শফিকুল ইসলামঃ একজন ভাল মানুষ তিনিই যিনি কথায় ও কাজে সৎ এবং মানুষকে নিঃস্বার্থ ভালবাসাতে যার আনন্দ।
জাতির আলোঃ শুনেছি আপনি একটি পত্রিকার সমপাদক ছিলেন। ঐ পত্রিকা ছেড়ে সরকারী চাকুরীতে আসার কারণ কি?
শফিকুল ইসলামঃ আমি শিক্ষা জীবন শেষে সরাসরি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করি। অন্য কোথাও চাকুরী করি নাই।
জাতির আলোঃ সবার জীবনে রোমাঞ্চকর অধ্যায় আসে, আপনার জীবনে সেই রোমাঞ্চকর অধ্যায় কি এসেছিল?
শফিকুল ইসলামঃ একজন কবির জীবনের অনুভূতি/উপলব্ধি তার কাব্যে মিশে থাকে- কবির জীবনের রোমাঞ্চকর অধ্যায়ের ঈঙ্গিত হয়ত কোন পঙক্তিমালায় খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
জাতির আলোঃ আপনার পিতা কি চাকরী করতেন? আপনার পিতার কোন আদর্শটি আপনি অবলম্বন করতে চেষ্টা করেন?
শফিকুল ইসলামঃ শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তা। তার সততার বিরল আদর্শ অনুসরণ করে চলি।
জাতির আলোঃ আপনি খেলা পছন্দ করেন? করলে কোন খেলা সবচেয়ে বেশি প্রিয়?
শফিকুল ইসলামঃ ইনডোর গেমই আমার পছন্দ- এর মধ্যে দাবা খেলাই আমার বেশি প্রিয়।
জাতির আলোঃ বেকার যুবকদের প্রতি আপনার কি উপদেশ থাকবে?
শফিকুল ইসলামঃ পরমুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেদের উদ্যোগে স্বকর্মসংস্থানের চেষ্টা করতে হবে।
জাতির আলোঃ আপনার মত এরকম জীবন গঠন করতে গেলে জীবনকে কিভাবে সাজিয়ে নিতে হবে, আপনার জীবনের থেকে কিছু বলুন।
শফিকুল ইসলামঃ জীবনের লক্ষ্য ও আদর্শে অবিচল থেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে এবং কথায় ও কাজে সৎ হতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More