বর্ণ বৈষম্য, যুবতীর আত্মহত্যা

0

B.baria[ads1]ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বর্ণ বৈষম্যের কারণে বিয়ে না করায় হিন্দুসম্প্রদায়ের এক যুবতী (১৮) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাপাতালে ওই যুবতীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। হত ওই যুবতীর নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউপির শ্রীঘর গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শ্রীঘর গ্রামের মৃত রাখাল সরকারের ছেলে নির্মল সরকারের (২২) সঙ্গে এই যুবতীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৩১ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই যুবতীকে নিজ বাড়ির পাশে নিয়ে সে ধর্ষণ করে । পরে যুবতী চিৎকার শুরু করলে তার বড় ভাই ঘটনাস্থলে থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরে বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানসহ অন্যদের অবগত করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন নিমলের সঙ্গে ওই যুবতীর বিয়ের দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ছেলের পরিবার বর্ণ বৈষম্যের কারণে ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পর দিন গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চাউলে ব্যবহার করা পোকা নিরোধক বড়ি খেয়ে ফেলে ওই যুবতী। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার কোনাঘাটা এলাকায় পৌছলে মেয়েটি মারা যায়।   [ads2]
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। পরে এই মেয়েকে বিয়ের জন্য ছেলের বড় ভাইদের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা রাজি না হওয়ায় ওই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ের বাবা অভিযোগ করে বলেন, অসহায়, গরীব ও দাস বংশের হওয়ায় ধর্ষণের পরও আমার মেয়েকে ওই ছেলে সঙ্গে বিয়ে দিয়ে সিদ্ধান্ত দেয় এলাকাবাসী। কিন্তু আমরা দাস হওয়ায় ওই ছেলের পরিবার বিয়েতে রাজী হয়নি। এঘটনায় নবীনগর থানা একটি অপমৃত্যুর মামলা নিয়েছে মাত্র।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত নির্মল সরকারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে নির্মল সরকারের বড় ভাই দিলীপ সরকার জানান বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার ভাইয়ের সঙ্গে  ওই মেয়েটির কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিলনা। মেয়েটি আত্মহত্যা করার পর পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ছোট ভাইকে ফাসাতে এই অপকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মেয়েটি পোকা নিরোধক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে। তাছাড়া ওই মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে এমন কোন আলামত সুরতহাল প্রতিবেদনের পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, নির্মলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More