নতুন সময় : দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সরকারের বাজেট নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বরাবরের মতো এবারও কৃষি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার বিকেল ৪টায় গভর্নর ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নীতিমালা ঘোষণা করবেন।
এবার কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও সব তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
কৃষকদের কাছে আরো সহজে ব্যাংক ঋণ পৌঁছে দেয়াই এবার এই নীতিমালার অন্যতম উদ্দেশ্য বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে। এবার কৃষি বা পল্লী ঋণ বিতরণে গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রাখা হতে পারে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি বা পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরমধ্যে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য ৬ হাজার ৪১০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করে দেয়া হয়। আর বাকি ৯ হাজার ১৪০ কোটি টাকা ছিল রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য। এর আগের বছর বাজেটে কৃষি বা পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, গত অর্থবছরের (২০১৪-১৫) ১১ মাসে (জুলাই-মে) কৃষি খাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১৩ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে, যা তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪২৫ কোটি টাকা বা ৩ শতাংশ কম।
কৃষি ঋণ ও আর্থিক সেবাভুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে কোনো ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলে অনার্জিত অংশের পুরোটাই বাংলাদেশ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক জমা রাখতে হবে। আর এ অর্থের ওপর কোনো সুদ দেয়া হবে না। অর্থাৎ কোনো ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ টাকা হলে ওই ব্যাংক যদি বছর শেষে ৮০ টাকা বিতরণ করে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ২০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে জমা রাখতে হবে।
এর আগে অনার্জিত অংশের ৩ শতাংশ জমা রাখতে হতো। অর্থাৎ ১০০ টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে ৮০ টাকা বিতরণ হলে ৬০ পয়সা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখলে চলত। তবে কোনো ব্যাংক যদি তাদের মোট ঋণের ২ দশমিক ৫ শতাংশ কৃষি ঋণ বিতরণ করতে পারতো, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতো না। কিন্তু এখন থেকে এ সুবিধাও প্রত্যাহার করা হয়েছে।