জ্বালানী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, যেভাবে আমাদের গ্যাসের ব্যবহার বাড়ছে, সে হিসেবে এভাবে গ্যাস আর দশ থেকে বারো বছর চলবে। যদি নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস পাইপ লাইনে না আসে তাহলে আমাদের এই মজুদকৃত গ্যাস উল্লেখিত বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
সংসদে আজ মঙ্গলবার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের পয়েন্ট অব অর্ডারের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান।
মাগরিবের বিরতির পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক পুনরায় শুরু হলে হাজী সেলিম পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে জ্বালানী তেলের দাম কমানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
জবাবে ফ্লোর নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে আমরা বিকল্প হিসেবে একটি পরিকল্পনা নিয়েছি। আবাসিক জ্বালানী খাতে পাইপ লাইনের ১২ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করে। বাকিরা সবাই সিলিন্ডার বা লাকড়ি ব্যবহার করে। সকলে যাতে সুনিশ্চিতভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি ব্যবহার করতে পারে সেজন্য আমরা একটি অ্যাকশন প্লান তৈরি করছি। আগামীতে আবাসিক খাতে আমরা কি ধরনের জ্বালানি দেব।
নসরুল হামিদ আরো বলেন, বেশ কিছু দিন যাবৎ গ্যাসের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখন আপাতত প্রবলেম নেই। বাসা-বাড়িতে এখন গ্যাস নিয়মিত হয়ে গেছে। কিছুদিন গ্যাসের পাইপ লাইনে ময়লা দেখা গিয়েছিল একারণে সেটা পরিস্কার বা মেইনটেনেন্সের জন্য গ্যাসের প্রেশারটা কমিয়ে দেয়া হয়েছিল।
জ্বালানী তেলের লাভের টাকা উন্নয়নে খরচ করি
তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে গেলেও এখনো আমরা তা কমাতে পারিনি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)র আর্থিক লাভের টাকা আমরা পকেট রেখে দেই নাই। বা কোন জায়গায় রাখি নাই। উন্নয়নে খরচ করি। পাইপ লাইন তৈরির করার জন্য এই টাকাগুলো ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শুধু ডিজেল আমদানি হয় কিন্তু পেট্রোল আমদানি হয় না। পেট্রোলের চাহিদা বাড়ানোর জন্য এর দাম ৩০ টাকা কমানো যেতে পারে। এতে সিএনজি ব্যবহার কমে যাবে। যে গাড়িতে আমরা সিএনজিতে গ্যাস দেই এতে এটা কমে যাবে। তখন এটা আমরা শিল্পতে ব্যবহার করতে পারব।
নসরুল হামিদ বলেন, মূল্য বেশি হওয়ায় জ্বালানি তেলে অবশ্যই অতিরিক্ত মুনাফা হচ্ছে। কিন্তু বিপিসি ৩২ হাজার কোটি টাকা দেনা ছিল। বর্তমানে এটা কিছুটা কমে এসেছে। গত বছর দশ হাজার কোটি টাকার মতো অতিরিক্ত পেয়েছি। সেখান থেকে সাত হাজার টাকা চারটি ব্যাংকের দেনাসহ ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করেও দুই-আড়াই হাজার কোটি টাকা রয়েছে। বিপিসির নতুন পাইপ লাইন ইনফ্রাকটাচার উন্নয়ন চলছে। এই টাকাগুলো আমরা পকেট রেখে দেই নাই। বা বিপিসি কোন জায়গায় রেখে দেয় নাই। আমরা আগামীতে পাইপ লাইন করার জন্য এই টাকাগুলো ব্যবহার করছি।