ঢাকা: দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর ‘পায়রা বন্দর’ নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। স্মারক অনুযায়ী, পায়রা বন্দর নির্মাণে ৫০ কোটি টাকা দেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ)।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মেম্বার (ইঞ্জিনিয়ারিং) ক্যাপ্টেন জুলফিকার আজিজ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের মেম্বার (হারবার অ্যান্ড মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. সাইদুর রহমান নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে স্মারকে সই করেন।
অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ছাড়াও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পায়রা বন্দরে আর্থিক, কারিগরি ও অন্যান্য সহযোগিতা দেবে।
শাজাহান খান বলেন, এই সমঝোতা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পায়রা বন্দর নির্মাণে বিনা সুদে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৪৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা দেবে। ২০২০ সাল থেকে ২০ কিস্তিতে এ ঋণ পরিশোধ শুরু করবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
১২৭ বছর আগে চট্টগ্রাম ও ৬৪ বছর আগে মংলা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করার পর শেখ হাসিনার সরকারের সময়েই তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ শুরু হচ্ছে বলে জানান নৌ-মন্ত্রী।
এ বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙ্গরের ফলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলেও জানান শাজাহান খান। ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ অর্ডিন্যান্স-২০১৩ অনুমোদনের পর একই বছরের ৫ নভেম্বর পায়রা বন্দর অর্ডিন্যান্স-২০১৩ সংসদে পাস হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার রাবনাবাদ চ্যানেলে পায়রা সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে দেশের ৯৫ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি হয়। কিন্তু বর্তমানে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের প্রবৃদ্ধির হার ১০-১৩ শতাংশ অব্যাহত থাকলে এবং আগামী ১০ বছরে মধ্যে নতুন কোনো বন্দর নির্মাণ না হলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সফল আমদানি-রপ্তানি সম্ভব হবে না বলে জানায় মন্ত্রণালয়।