সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনকারী ইসলামী ব্যাংক: অর্থমন্ত্রী

0

100981_1মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেসিক ব্যংক ও কৃষি ব্যাংকসহ দেশের মোট ৫৬টি ব্যাংকের মধ্যে ২০১৪ সালে চারটি ব্যাংক লোকসানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
লোকসানে থাকা অন্য দুটি ব্যাংক হলো- আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
তবে একই বছরে সরকারি-বেসরকারি মুনাফা অর্জনকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক সর্বনিম্ন মুনাফা অর্জন করেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশে ২০১৪ সালে সরকারি-বেসরকারি মুনাফা অর্জনকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে ইসলামী ব্যাংক যার পরিমাণ ১ হাজার ৬২১ দশমিক ২১ কোটি টাকা।
মুহিত জানান, সর্বনিম্ন মুনাফা অর্জন করেছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক যার পরিমাণ ৭৩ কোটি টাকা।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিকট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিপুল পরিমাণ পাওয়া রয়েছে যার পরিমাণ ১১ হাজার ২৫৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
এ কে এম মাইদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ভারত থেকে সর্বমোট ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত এ ঋণ থেকে ৩০ জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে মোট ১৭২ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ডিসবার্সমেন্ট হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য সড়ক পরিবহন, রেল যোগাযোগ, শিল্প এবং নদী ব্যবস্থাপনা খাতে ১৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য নুরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। তন্মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৪ ছয় মাসের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৬০ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এ ছয় মাসে আদায় হয়েছে ৫০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। আদায়ের হার ৯৭ দশমিক ৭ শতাংশ ধারাবাহিকতায় আশা করা যাচ্ছে যে, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিমানবন্দরে বিভিন্ন সময়ে চোরাচালান হয়ে আসা জব্দকৃত স্বর্ণ শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকর্তৃক সঠিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, দ্যা কাস্টমস এ্যাক্ট-১৯৬৯ এর ধারা ১৬৯ অনুযায়ী স্বর্ণ আটকের পর দ্রুততম সময়ে তা নিকটস্থ শুল্ক গুদামে জমা প্রদান করা হয়। স্বর্ণ উক্ত শুল্ক দপ্তরের মূল্যবান গুদামে জমা রাখা হয় এবং রিসিপ্ট সংরক্ষণ করা হয়।

‘ওই গুদাম সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগপূর্বক পুলিশ প্রহরায় এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা প্রদানের জন্য প্রেরণ করেন। একজন সার্টিফাইড স্বর্ণকার উক্ত স্বর্ণের গুণগতমান পরীক্ষা করার পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়। জমা প্রদানপূর্বক রিসিপ্টসমূহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বিতরণ করা হয়’ যোগ করেন তিনি।
মুহিত বলেন, স্বর্ণ আটক পরবর্তী তদারকি জোরদার করতে এবং যথাযথভাবে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা তদন্তপূর্বক রিপোর্ট দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও শুল্ক কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতা বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More