বিডিআর থেকে গুলশান, কিছুই মিলছে না কেন?

0

Mina Farahএই লেখাটি কোনোক্রমেই সন্ত্রাসের পুরো বিষয়ের ওপর আলোকপাত নয়। দুঃখজনক যে, বেশির ভাগই ব্যস্ত শিক্ষাঙ্গনসহ সামাজিক ঘাটতি খোঁড়াখুঁড়িতে, যা সন্ত্রাসের গোড়ার ওপর আলোকপাত করে না। সন্ত্রাসের নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করা দুরূহ, তবে আমাদের রয়েছে ক্রাইসিসের ওপর ক্রাইসিস। একটা ক্রাইসিস শেষ না হতেই আরেকটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কথিত বিশ্লেষকেরা জঙ্গিবাদের গোড়া বাদ দিয়ে গাছের ডালপালা ধরেই টানাটানি করছেন। সাম্প্রতিককালে ভয়াবহ রাজনৈতিক শূন্যতাকে সন্ত্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে সমাধান খুঁজলে পরিস্থিতি হয়তো এত খারাপ হতো না। অনির্বাচিতরা যতই দীর্ঘ হবে, নৈরাজ্য ততই বাড়বে। দেশটি ইরাক হোক- কেউই চায় না; কিন্তু বিসওয়ালকে আবারো বোঝানো হলো, ‘আমরাই সব পারি’। আমরা আসলে কোনটা পারি? একটা ভুল ঢাকতে গিয়ে ১০টা ভুল করি। বিডিআর থেকে গুলশান, কোনো কিছুই মিলছে না। [ads1]

‘জাতীয় ঐক্য গঠনে আইএসের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হলে, সেই ঐক্যও কিন্তু সমান বিপজ্জনক।’ বরং খালেদার বক্তব্যের সারমর্ম হতে পারত, আইজিপি এখন বলছেন, জঙ্গিরা নাকি আইএস নয়, বরং জেএমবি। কিন্তু ৯ বছর ধরে বলছে, জঙ্গিরা সব বিএনপি-জামায়াত… তাহলে কোনটা মিথ্যা? জিরো টলারেন্সের নামে বিরোধী দলের লোকজন হত্যা, গণহত্যার প্রমাণ আছে। প্রমাণিত হয়েছে, বিরোধী দল নির্মূলের উদ্দেশ্যেই জিরো টলারেন্স এবং আওয়ামী লীগের মধ্যেও জঙ্গি। ‘সাইট ইন্টেলিজেন্সের’ প্রকাশিত পাঁচটি ছবির একটি রোহান, যার বাবা আওয়ামী লীগের নেতা। নিহত পাঁচ জঙ্গির মধ্যে রোহানের লাশ নাকি হাওয়া। এরা কী করে জঙ্গি তাড়াবে? বরং জঙ্গিবাদ আরো বাড়বে। পুলিশের প্রকাশিত পাঁচ জঙ্গির ছবির সাথে যাকে রোহান বানাল, সাইটের রোহান সে নয়। বরং বাবুর্চি সাইফুলের চেহারার সাথে সামান্য মিল থাকায় এই কুকর্ম করা হলো। সাইফুলের বাবার অভিযোগ, ৯ দিন পরও লাশ দিচ্ছে না পুলিশ। রহস্যজনক কারণে ১১ ঘণ্টা কালক্ষেপণ এবং লাইভ কভারেজ বন্ধে বিষোদগার। জীবিত কিংবা মৃত, রোহানের খবর নেই কেন?
গুলশানের ঘটনাই শেষ নয়। জাতির স্বার্থে জবাবদিহিতামূলক সরকারের মাধ্যমে আস্থা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি। ভুলত্র“টি সব দলেরই রয়েছে; কিন্তু অতীতের যেকোনো রেকর্ড ভঙ্গ করেছে অনির্বাচিতরা। তারাই সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী এনে গণতন্ত্রের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। গণভোট বাতিল করে কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। সুতরাং ক্রাইসিস নিরসনে দ্রুত পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়া হোক। তারাই যা করার করবেন, ২০ দল সহায়তা করবে। বক্তব্যের সারাংশ এমনই হওয়া উচিত ছিল।
২০ দল সমালোচনা করে; কিন্তু রাজনৈতিক ভাষা অত্যন্ত ‘নাবালক’। এভাবে চলতে দিলে ক্রাইসিস বাড়বে। বেগম জিয়া যেভাবে কাজ করছেন, এতে অনির্বাচিতরা দীর্ঘস্থায়ী হবে। ফলে আম-ছালা দু’টিই যাবে। জোবায়দা রহমানকে এনে রাজনীতিতে প্রাণসঞ্চার জরুরি। নেতাকর্মীরা ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।[ads2]

২ প্রতিবারই জাতি প্রচণ্ডরকমের বিচারকের ভূমিকায়। ‘উগ্রবাদ ঠেকাতে সন্তানদের প্রতি যতœবান হোন’। যেন সব দোষ সন্তানদের। সমাজে এ ধরনের বিচারক থাকলে, সেই সমাজ বিপথগামী হতে পারে। ক্রাইসিসের ওপর ক্রাইসিসের প্রভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভক্তির দেয়াল ক্রমেই উঁচু হতে পারে। ৪৫ বছরেও অনড় কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের চরিত্র, সুস্থ রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের পথে প্রচণ্ড বাধা। যত দিন না রাষ্ট্র সহনশীল হবে, চলবে বিভক্তির রাজনীতি। বিভক্তি থেকে হতাশা, হতাশা থেকে বিস্ফোরণ। সামরিক শাসন কায়েম করেও হতাশাসৃষ্ট মানবিক দুর্যোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। ৪৫ বছরেও ভোটের রাজনীতি বুঝতে অক্ষম। এরশাদকে টেনে নামিয়ে আবারো সংসদে বসিয়েছে কারা? সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যও দায়ী এরাই। সুবিধাভোগী জ্ঞানপাপীরাই ৫ জানুয়ারিকে বৈধ করেছেন। এদের কারণেই এত বছর টিকে আছেন অনির্বাচিতরা। অন্যথায় গণবিস্ফোরণের মুখে পালানোর কথা।
বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কতটুকু যুগোপযোগী আমাদের রাজনীতিবিদেরা? আর্থসামাজিক সঙ্কট কতটুকু প্রাধান্য পেয়েছে? মানুষকে বদলাতে হলে সবার আগে রাষ্ট্রকেই বদলাতে হবে। ‘রাষ্ট্র রেডিক্যাল হলে ডিরেডিক্যালাইজেশন অসম্ভব’। সুস্থ সমাজ গঠনে ৪৫ বছরেও ভূমিকা রাখেনি রাষ্ট্র। বরং সমস্যার পাহাড় আরো ভারী করেছে। শুধু ৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী সুবিধাভোগী, বাকিরা রাডারের বাইরে। ফলে যা হওয়ার হচ্ছে। ১/১১ থেকে রাষ্ট্রের যে ভয়াবহ মূর্তি, এর প্রভাব সর্বত্রই। লিও টলস্টয় বলেছেন, ‘মানুষ সবাইকেই বদলে দিতে চায়, শুধু নিজেকে বদলানো ছাড়া।’
‘বিজয়ী হওয়ার একটাই পথ, ২৪ ঘণ্টাই মিথ্যা কথা বলবে’ লিখেছেন, ক্রিশ্চিয়ান সাইনটোলজির উদ্ভাবক রন হাভার্ড। দিগন্ত আর পিস টিভি বন্ধ করলেই যদি ডিরেডিক্যালাইজেশন হতো, এরশাদ শিকদারের ফাঁসির পর, একটি গুম-খুনও হতো না। রাষ্ট্র যখন নিজেকে দুর্বিষহ করে তোলে, নকশালবাড়ি কিংবা ’৭৪-এর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সন্ত্রাসের বহু রূপ, গুলশান একটি কার্ড। জঙ্গি নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলা হলো আবারো। নির্মূল হওয়া দূরে থাক, জঙ্গিবাদের কিছুই করতে পারবে না ভুল পদক্ষেপ নেয়া হলে। রন হাভার্ডের কথাই সত্য হয়েছে। ক্রমাগত মিথ্যা বলে, সত্য বানানোর চেষ্টা চলছে। রাষ্ট্রকেই প্রমাণ করতে হবে, সমাজের কাছে তারা দায়বদ্ধ। রোহানের ছবি সরিয়ে সাইফুলের ছবি, সেই দৃষ্টান্ত নয়।[ads1]

দিন দিনই বৈশ্বিক পরিবর্তনের মুখোমুখি, বিশাল যুবসমাজের কাছ থেকে রাষ্ট্র ও সমাজ ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। বাধ্য হয়ে মা এবং সন্তান, কেউই কাউকে সঠিকভাবে বুঝতে পারছে না। রাজনৈতিক ক্রাইসিসের সাথে যোগ হয়েছে বিশ্বায়নের প্রভাব। শিল্প বিপ্লবের ৩৫০ বছরে এত বড় ক্রাইসিস এই প্রথম। এটা সামাল দিতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজ সবাইকেই বদলাতে হবে। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন সুশাসন এবং প্রভাবমুক্ত বিচার বিভাগ। মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি কত ভয়ানক হতে পারে, প্রমাণ বাংলাদেশ। দেশটি কখনোই এমন ছিল না বলে দাবি করতেই পারি। এখন টেলিভিশনের স্ক্রলে অনবরত ঘুরতে থাকে লাশের খবর।
সবচেয়ে জনবহুল দেশটির মৌলিক সমস্যা নিয়ে কতটুকু আলোচনা হয়? পথে-প্রান্তরে মানবেতর জীবনের পাহাড়। ১৭০ মিলিয়ন মানুষের চাহিদা পূরণের সক্ষমতা রাষ্ট্্েরর নেই বলেই ক্রাইসিসের বিস্ফোরণ। গোদের ওপর বিষফোঁড়া ৫ জানুয়ারির অনির্বাচিতরা। দেশটি গরিব বলেই পরনির্ভর। বাধ্য হয়ে সমাজও বিদেশমুখী। এক কোটি প্রবাসী শ্রমিকের দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে একটাই। অনেক দেশেরই এই পরিমাণ জনসংখ্যা নেই। রেকর্ডসংখ্যক মানুষ যেকোনো মূল্যে বিদেশ যেতে মরিয়া। এমনকি বিত্তবানদের বেশির ভাগই সন্তানদের বিদেশে রাখেন। এসব পরিস্থিতি সমাধান নয়; বরং সঙ্কটের কথা বলে। মুরোদহীন বাবা-মায়ের সংসারে ঘরভর্তি সন্তান থাকলে যা হয়। শ্রমনির্ভর দেশের বিশাল যুবসমাজের জন্য আশার আলো বলতে কিছু নেই। সবার ভাগ্যে পশ্চিমের ভিসা জোটে না। এত যুবক এক দিনে বিপথগামী হয়নি। এক দিনেই সহমর্মীদের সংখ্যাও লাখ ছাড়িয়ে কোটিতে যায়নি। রাষ্ট্র আগেই জানত, কিন্তু দুর্নীতিবাজেরা নিজেদের পেট ও পকেট ছাড়া কখনোই ভাবেনি। বিপথগামীদের জন্য বাবা-মায়ের চেয়ে মোটাদাগে দায়ী রাজনীতিবিদেরাই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সহমর্মীদের সংখ্যা এত বেশি যে, পতন এড়াতে চাইলে প্রায় ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে সিসিক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। এই ৯০ শতাংশ মানুষ, ভারতবিদ্বেষীÑ লিখেছে হিন্দুস্তান টাইমস। ভাবুন ঠাণ্ডা মাথায়।[ads2]

অতীতে সব দলেরই ভুলভ্রান্তি ছিল; কিন্তু এই দফায় তালিকা করা অসম্ভব। আলোচিত অর্থমন্ত্রী আর গভর্নরের আমলে প্রায় তিন লক্ষাধিক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়নি? শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের কোনো প্রভাবই পড়বে না? ৫ জানুয়ারি এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের প্রভাব পড়বে না? একমাত্র মানুষই সর্বোচ্চ প্রতিক্রিয়াশীল। যারা মনে করে, ক্রাইসিসের কোনো প্রভাব নেই, তারা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য অনুপযুক্ত। সবচেয়ে বড় অসুখ হতাশা। এমনকি পারিবারিক বন্ধনও গুরুত্বপূর্ণ নয়। রাষ্ট্র যতই অসহনশীল হবে, হতাশাও বাড়বে। বাড়বে দেশে-বিদেশে প্রতিক্রিয়াশীল সহমর্মীদের সংখ্যাও।
মানুষ মারা উন্নতি দিয়ে বরং এত দিনে ভয়ে লেজ গুটানোর কথা। কারণ তারা দেখছে, মেগা উন্নতির ক্রাইসিস কিভাবে ধ্বংস করছে রাষ্ট্রের ফুসফুস, কলিজা, কিডনি। মেগা উন্নতির মহামারীতে মানুষে মানুষে সঙ্ঘাত তীব্রতর হচ্ছে। ভয় না পাওয়ার কারণ, জবাবদিহিতার জন্য জনগণের সরকার লাগে। এখনো মনে করি, বিশ্বব্যাংকের টাকায় পদ্মা সেতু হলে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হতো। বরং প্রতিদিন উন্নতির হাত-পা গজায়। সকাল হলেই উন্নতির ঢেঁকি পেটাও। একলা চলো উন্নতির পার্টনারদের কে না চেনে? পৃথিবীজুড়েই আমরা হয় আওয়ামী লীগ, নয় বিএনপি। ২৪ ঘণ্টা কোপাকুপিতে ব্যস্ত। ২০ দল সমর্থকদের অনেকেই প্রবাসী শ্রমিক। অনির্বাচিত সরকারের কারণে অনেকেরই রয়েছে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও হতাশা। কেউ কেউ উগ্রপন্থীদের খপ্পরে পড়ে গ্রেফতারও হচ্ছে। এদের পাঠানো ডলার দিয়েই রাষ্ট্র সচল। এই ক্রাইসিস মেলাবে কী দিয়ে? বরং রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের উচিত অন্যত্র খোঁড়াখুঁড়ি না করে রাজনৈতিক শূন্যতার ক্রাইসিস আলোচনায় আনা।
সুস্থ সমাজ গঠনে রোলমডেলের বিকল্প না থাকলেও সব অসম্ভবের দেশ এটাই। ‘এই সমাজের ঘরে-বাইরে কোথাও নেই রোলমডেল।’ যারা ছিল, ঝেটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। হুমকি মনে করে, পাঠ্যপুস্তক থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। ড. ইউনূস যত বিতর্কিতই হোন, সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যখন গালিগালাজ দেখে, যুবসমাজের মুখে মধু পড়বে কেন? মানুষ, দেখে শিখে। যত দূর চোখ যায়, একাধিক পরিবার, ব্যক্তির ছবিতেই সীমাবদ্ধ রোলমডেল। বহু মতাদর্শ এবং ভিন্নমতের সংস্পর্শে আসার বিকল্প না থাকলেও প্রচণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্র। নির্দিষ্ট ব্যক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকতেও বাধ্য করেছে। জলাবদ্ধ পানিতে ইলিশ হয় না, জন্মায় পোকামাকড়।

[ads1]অভিযোগ, ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই নাকি বিষাদগ্রস্ত। শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কয় টাকা ব্যয় করে রাষ্ট্র? অথচ বিশেষ ব্যক্তির দৈনিক আপ্যায়ন খরচ প্রায় তিন লাখ টাকা। ইতিহাস বলে, হতাশাগ্রস্ত মানুষ অসম্ভব ঘটনা ঘটায়। খুতবা আর পিস টিভির লেজ ধরে টানাটানিতে সমাধান নেই; বরং কার্টুনিস্টদের সংখ্যা আরো বাড়বে। একমাত্র সুস্থ রাষ্ট্রই দিতে পারে সুস্থ সমাজ। ২৫০ বছর আগে মেরি ওলস্টনক্রাফটস বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক মানুষই পরিস্থিতি এবং পরিবেশের শিকার’।
সন্ত্রাস শুধুই বিডিআর থেকে গুলশান নয়। মাদক, ফেনসিডিল, অস্ত্র, অর্থসন্ত্রাস… কখন এত লোভনীয় হলো? অপরাধ শুধু বেঁচে থাকাই নয়, ক্ষেত্রবিশেষে বিনোদনও। যেকোনোভাবে মানুষ আনন্দে থাকতে চায়। সব রাস্তা বন্ধ পেয়ে অধিকারের বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে যে যেখানে পারে। এখন গণভোটের বিকল্প হয়েছে, সোস্যাল মিডিয়া। যারা বাস্তবতা অস্বীকার করে, তারা জঙ্গিবাদের মতো বিপজ্জনক। শ্যামল কান্তির মতো জনে জনে নিরাপত্তা দেয়ার প্রয়োজন একমাত্র আওয়ামী লীগের আমলেই। যেমন হয় শেয়ারবাজার ধ্বংসের প্রয়োজন। বরং পুলিশি রাষ্ট্র বানানোর চেয়ে সহনশীলতাই সহজ সমাধান। কয়েদির অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইউরোপের অনেক দেশের জেলখানা, কিন্তু আমরা?
আর্টিজানের ঘটনায় যেসব আধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার (অ্যাসাল্ট রাইফেল একে-৪৪), তা এক ব্যক্তি বা এক দিনের পরিকল্পনা নয়। সহমর্মিতা দেয়ার মতো মানুষেরও হয়তো অভাব ছিল না। তবে বাঘের মুখে রাষ্ট্রের অসহায়ত্ব প্রমাণিত হয়েছে। কুইনিন সারাবে কে?
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো আমলে না নিয়ে বরং ধ্বংসের খাল কাটা হচ্ছে। ধর্মভীরু মতাদর্শের ৯০ শতাংশ মানুষের বেশির ভাগই গরিব ও হতাশাগ্রস্ত। একজন রিকশাওয়ালার হাতে পাঁচ লাখ টাকা দিলে সে হয়তো অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখবে। নীতি নয়, তার প্রয়োজন টাকা। বৈশ্বিক পরিবর্তনের যুগে ইসলামিক বা আন-ইসলামিক স্টেট, কখন কার কাছে, কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে… নেপথ্যের কাহিনী বোঝার মতো সমাজ কিংবা রাষ্ট্র ৪৫ বছরেও হয়নি। ‘জঙ্গিবাদ কোনো অসুখ নয়, বরং মানবসৃষ্ট পুঞ্জীভূত দুর্যোগের বিস্ফোরণ।’ সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধে শিশুযোদ্ধাদের উত্তপ্ত করতে ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হয়েছে মাদক ও নারী। এমনকি বাবা-মাকে দেখলে পালিয়ে যেত শিশুযোদ্ধারা। একই দৃষ্টান্ত ইসলামিক স্টেটেও। বিডিআর থেকে রানা প্লাজা এবং গুলশান- হিসাব মেলাতে পারছি না।[ads1]

ই-মেইল : farahmina@gmail.com
ওয়েবসাইট : www.minafarah.com

– See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/136009#sthash.4sdRwcK0.dpuf

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More