জেএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা

0

lead061মুহম্মদ আল মাসুদ (সিনিয়র শিক্ষক, মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, মিরপুর, ঢাকামানব ধর্ম

উদ্দীপকটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
সম্রাট বাবর ছিলেন প্রজাপ্রেমিক। দিনেরবেলাতে ছদ্মবেশ ধারণ করে পথে পথে ঘুরে প্রজাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতেন। হঠাৎ একদিন রাস্তায় তিনি দেখতে পান একটি পাগলা হাতির ভয়ে সবাই রাস্তা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছে। একটি শিশু রাস্তায় পড়ে আছে তাকে কেউ সরিয়ে নিচ্ছে না। সম্রাট বাবর যখন ছেলেটাকে তুলে আনতে গেলেন তখন সবাই বলল, ও মেথরের সন্তান ওকে তুলে নেয়ার দরকার নেই। প্রজাপ্রেমিক সম্রাট সবার কথা উপেক্ষা করে মেথরের সন্তানকে সযত্নে তুলে এনে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলেন।
ক. লালন শাহ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. ‘জাত বেজাত’-বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. সম্রাট বাবরের সঙ্গে লালন শাহ্-এর সাদৃশ্য
তুলে ধর।
ঘ. ‘লালনের মতে পৃথিবীর সব মানুষের ধর্ম’ ‘মানবধর্ম’- কথাটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তর (ক)
লালন শাহ ১৭৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
উত্তর (খ)
জাত ধর্ম নিয়ে মানুষের মিথ্যে বাড়াবাড়িকে বুঝানো হয়েছে উদ্ধৃতাংশে। ‘মানবধর্ম’ কবিতায় লালন শাহ্ মানবধর্মের জয়গান গেয়েছেন। মানুষ মিথ্যা বড়াই করে জাত ধর্ম নিয়ে। এক মানুষ অন্য মানুষের থেকে আলাদা হয়ে যায় জাতের দোহাই দিয়ে। কিন্তু লালনের মতে এ গৌরব বা বড়াই মূলত মিথ্যা। যেখানে-সেখানে জাত ধর্ম নিয়ে গৌরবের কোনো অর্থ নেই। জাত ধর্মের মিথ্যা গৌরব মানবধর্মের মর্যাদাকে
নষ্ট করে ।
উত্তর (গ)
জাতের বিভেদ না করে মানবধর্মে উদ্দীপ্ত হওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি সম্রাট বাবরের সঙ্গে লালনের সাদৃশ্য আছে। লালন শাহ মানবতাবাদী মরমি কবি। ‘মানবধর্ম’ কবিতায় মানুষের জাতভেদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন লালন শাহ। তিনি মনে করেন জাতভেদে মানুষেরই সৃষ্টি। মানুষই নিজেদের মাঝে ধর্মের দেয়াল তুলে দেয়। তাই জাতকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। মনুষ্য ধর্মই মূলকথা। জন্ম-মৃত্যুকালে কোনো মানুষ তসবিহ বা জপমালা ধারণ করে না, সে সময় সবাই সমান। তাই মানুষ সৃষ্ট জাতভেদে তিনি বিশ্বাস করেন না। উদ্দীপকে সম্রাট বাবরের মাঝেও মানবপ্রেমের নিদর্শন পাওয়া যায়। তার মানুষের প্রতি ভালোবাসা জাতভেদকে অতিক্রম করে গেছে। তাই তিনি মেথরের ছেলেকে অনায়াসে হাতির পায়ে পিষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। লোকের জাতভেদের কুসংস্কার না মেনে মানবপ্রেমকে বড় করে দেখায় তার সাথে লালনের মনোভাবের সাদৃশ্য আছে। মানবধর্মই বড় ধর্ম এ দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে লালনের সঙ্গে সম্রাট বাবরের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
উত্তর (ঘ)
মানুষে মানুষে মূলত কোনো ভেদাভেদ নেই। মানুষই সৃষ্টি করে নানা ভেদাভেদ। লালন শাহ মানুষের পরিচয়কে সবচেয়ে বড় পরিচয় হিসেবে দেখেছেন। মানবধর্ম বড় ধর্ম তার কাছে। জাতের বিভেদে তার কোনো আস্থা নেই। কারণ মানুষ জাত ধর্মভেদ নিয়ে জন্ম নেয় না।
সব মানুষই সমান মর্যাদার অধিকারী। উদ্দীপকে সম্রাট বাবর অতিক্রম করেছেন মানুষের জাতের সংস্কার। জাতভেদের কারণে মানুষের নিষ্ঠুরতা ফুটে উঠেছে উদ্দীপকে। একটি শিশুকে হাতির পায়ে পিষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে না মানুষ জাতের দোহাই দিয়ে। মানুষের এ নিষ্ঠুরতা মানবধর্ম দ্বারা জয় করেছেন সম্রাট বাবর। রক্ষা করেছেন মেথরের শিশুটিকে। মানুষ সবাই সমান। সবার প্রতি তাই ভালোবাসা প্রদর্শন করতে হবে।
মানুষকে বিভেদের দেয়ালে পিষ্ট করা অমানবিক কাজ। মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান দেখাতে হবে। কারণ সব মানুষ সমান। এমন ভাবনাই লালন শাহ্ ধারণ করেছেন। আর উদ্দীপকে সংম্রাট বাবর তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তার কাজের মাধ্যমে। মানুষের কোনো ভেদ নেই। সবাই সমান মর্যাদার অধিকারী। উদ্দীপকেও ‘মানবধর্ম’ কবিতায় এ কথাই উচ্চারিত হয়েছে।
বিজ্ঞান
দেওয়ান সামছুর রহমান
সিনিয়র শিক্ষক, গোয়ালপাড়া হাইস্কুল, সোনারগাঁ
ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন
১. উদ্ভিদ কোনটির সাহায্যে মাটি থেকে পানি শোষণ করে? – মূল।
২. উদ্ভিদ মূলের সাহায্যে গ্রহণ করা পানি ও রস কোনটির সাহায্যে পাতায় পৌঁছায়?
-কাণ্ড।
৩. সকল পদার্থ কী দিয়ে তৈরি?
-ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু দিয়ে।
৪. অণুগুলো সর্বদা কী অবস্থায় থাকে?
-গতিশীল বা চলমান।
৫. বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে অণুগুলো কম ঘনত্বের স্থানে ছড়িয়ে পড়াকে কী বলে?- ব্যাপন।
৬. কখন কোন পদার্থের অণুগুলোর ব্যাপন বন্ধ হয়ে যায়?- ঘনত্ব সমান হলে।
৭. উদ্ভিদ কোন প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ ও অক্সিজেন ত্যাগ করে?- সালোক সংশ্লেষণ।
৮. জীবকোষে শ্বসনের সময় কোনটি জারণের জন্য অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়?- গ্লুকোজ।
৯. দ্রাব ও দ্রাবকের মিশ্রণের ফলে উৎপন্ন হয়-
-দ্রবণ
১০. চিনি ও পানির দ্রবণকে বলা হয়-। -শরবত।
১১. দ্রাব যাতে দ্রবীতভূত হয় তা হল-। -দ্রাবক।
১২. দ্রাবকে যা দ্রবীভূত হয় সেটি হল-। -দ্রাব।
১৩. পানি হল একটি-। -দ্রাবক।
১৪. যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয়েরই অণু সহজে চলাচল করতে পার তাকে বলে-। -ভেদ্য পর্দা।
১৫. দ্রাবক ও দ্রাব যে পর্দা দিয়ে চলাচল করতে পারে না-। -অভেদ্য পর্দা।
১৬. কোষ প্রাচীর হল একটি-। -ভেদ্য পর্দা।
১৭. কোনটি অভেদ্য পর্দা? -পলিথিন।
১৮. যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রাব অণু যেতে পারে না তাকে কী বলে?
-অর্ধভেদ্য পর্দা।
১৯. কোষ পর্দা কী ধরনের পর্দা?- অর্ধভেদ্য পর্দা।
২০. তরল পদার্থের ক্ষেত্রে কোন ব্যাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়?- অভিস্রবণ।
২১. অভিস্রবণ বা অসমোসিস প্রক্রিয়াটি একটি কী ধরনের প্রক্রিয়া?- ভৌত প্রক্রিয়া।
২২. জীবকোষের কোষাবরণ বা প্লাজমা পর্দা কী পর্দা হিসেবে কাজ করে?- অর্ধভেদ্য পর্দা।
২৩. কোষের মধ্যে কোন প্রক্রিয়াগুলো সচল রাখার জন্য অভিস্রবণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
-জৈব, রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
২৪. প্রাণীর অন্ত্রে খাদ্য শোষিত হতে সাহায্য করে কোনটি?- অভিস্রবণ।
২৫. মাটি থেকে পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণ উদ্ভিদ দেহে টেনে নেয়ার পদ্ধতিকে কী বলে?
-শোষণ।
২৫. স্থলজ উদ্ভিদগুলো কোনটির সাহায্যের মাটি থেকে পানি শোষণ করে?- মূল রোম।
২৬. মূল রোমের প্রাচীরটি ভেদ্য হওয়ার ফলে কোন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে?- ইমবাইবিশন।
২৭. ব্যাপন ও অভিস বণ প্রক্রিয়ার যৌথ ফল কোনটি?- শোষণ।
২৮. উদ্ভিদ দেহে পানি কাণ্ডের কোন বাহিকার মাধ্যমে পাতায় পৌঁছে?- জাইলেম।
২৯. উদ্ভিদ দেহের স্টার্চ, সেলুলোজ, জিলেটিন এগুলো কী ধরনের পদার্থ?- কলয়েড ধর্মী পদার্থ।
৩০. উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের উৎস কোনটি- মাটিস্থ পানি।
৩১। মাটিস্থ লবণগুলো কী হিসেবে শোষিত হয়?
– আয়ন
৩২। উদ্ভিদ মাটির রস থেকে খনিজ লবণ কয়ভাবে সম্পন্ন করে?- দুইভাবে।
৩৩। কোনটি উদ্ভিদের একটি বিশেষ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া?- প্রস্বেদন বা বাষ্পমোচন
৩৪। উদ্ভিদ দেহ থেকে পাতার মাধ্যমে বাষ্পাকারে পানির নির্গমনকে কী বলে?- প্রস্বেদন
৩৫। পাতার কীসের মাধ্যমে প্রস্বেদন হয়?- পত্ররন্ধ্র
৩৬। উদ্ভিদের কাণ্ডের ত্বকে কোন বিশেষ অংশ থাকে যার মাধ্যমে প্রস্বেদন হতে পারে?- লেন্টিসেল।
৩৭। প্রস্বেদন কোথায় সংঘটিত হচ্ছে তার ভিত্তিতে প্রস্বেদন কয় প্রকার?- তিন প্রকার।
৩৮। প্রস্বেদনকে বলা হয় উদ্ভিদের-
-Necessary evil.
৩৯। কোনটির ফলে উদ্ভিদ দেহকে ঠাণ্ডা রাখে এবং পাতার আর্দ্রতা বজায় রাখে?- প্রস্বেদন।
৪০। কোন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার ফলে প্রচুর পানি বাষ্পাকারে বায়ুমণ্ডলে পৌঁছায়?- প্রস্বেদন।
৪১। উদ্ভিদের পরিবহনের পথ কোনগুলো?
-জাইলেম, ফ্লোয়েম
৪২। উদ্ভিদ মূলের কোন অংশের সাহায্যে মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে?- মূল রোমের।
৪৩। উদ্ভিদের পাতায় তৈরি খাদ্যবস্তু সারা দেহে ছড়িয়ে পড়াকে কী বলে?- পরিবহন বলে।
৪৪। মূল দ্বারা শোষিত পানি পাতায় যায় কিসের মাধ্যমে?- জাইলেমের মাধ্যমে।
৪৫। পাতায় উৎপন্ন তরল খাদ্য সারা দেহে পরিবাহিত হয় কিসের দ্বারা?- ফ্লোয়েম দ্বারা।
৪৬। জাইলেমের মাধ্যমে উদ্ভিদ দেহে কোন পরিবহন হয়?- রসের ঊর্ধ্বমুখী পরিবহন।
৪৭। উদ্ভিদের পাতায় তৈরি খাদ্য রসের নিুমুখী পরিবহন হয় কোনটির মাধ্যমে?- ফ্লোয়েমের
৪৮। কোন উদ্ভিদের মাধ্যমে উদ্ভিদের মাটি থেকে পানি শোষণ ও রস আরোহণের পরীক্ষার প্রমাণ করা যায়?
-পেপারোমিয়া।
৪৯। সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডল থেকে কী গ্রহণ করে?- কার্বন ডাই-অক্সাইড

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More