রাবিতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে পারলো না ৫১ শিক্ষার্থী

0

stidentশতকরা ৬০ ভাগ ক্লাসে উপস্থিতি না থাকায় একাডেমিক নিময়ানুযায়ী চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে পারছে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ৫১ জন শিক্ষার্থী। অপরদিকে ওই বিভাগের বাকি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে।
এদিকে পরীক্ষা দিতে না পারায় বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনে রোববার দুপুর ১২টা থেকে আমরণ অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে এখনো কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে পরীক্ষা বঞ্চিত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। অনশনে এ পর্যন্ত ২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা হলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খন্দকার মুমু, আফিফা উন নেশা। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরীক্ষা দিতে না পারায় প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তাদের ভুল শিকার করে আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছে এবং একটি বারের জন্য সুযোগ দিতে অনুরোধ করে। ভুলের জন্য শাস্তি চায় কিন্তু তা মৃত্যু নয়, একটি ভুল… প্রথম ও শেষ বারের মতো সুযোগ চায় এ ধরনের বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করে তাদের আবেদন জানানো হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, প্রথম বছরে নিয়মিত ক্লাস না করে আমরা অনেক ভুল করে ফেলেছি। এই জন্য আমরা লজ্জিত। শিক্ষকদের কাছে আমাদের একটাই দাবি, তারা যেন নিজের সন্তান মনে করে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করেন।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের সভাপতি আবু নাসের মো ওয়াহিদ বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে, তারা পরীক্ষা দিতে পারছে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বাইরে কেউ যেতে পারে না। পরীক্ষা একাডেমিকের নিয়মানুযায়ী তারা পরীক্ষা দিতে পারবে না। তাই তাদের এখন উচিত আন্দোলন না করে পড়াশুনায় মনোযোগ দেয়া।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তারিকুল হাসান বলেন, “আমি খোজ নিয়ে জানতে পেরেছি যারা আন্দোলন করছে তাদের অধিকাংশই ক্যাম্পাসে আসার পরে ক্লাসে উপস্থিত না থেকে বাইরে আড্ডা দিয়েছে। এখন পরীক্ষা দিতে না পারায় তারা অনশন পালন করছে এটা তাদের জন্য লজ্জার বিষয়। আমি তাদের সরতে বলেছি। তারা না সরলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে”।
আইন অনুষদের অধিকর্তা বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, “এটা পুরাটাই একাডেমিক সিদ্ধান্ত। তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুয়োগ দেয়া হচ্ছে না এটা একাডেমিক কমিটির মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে আছে ৬০ শতাংশের কম উপস্থিতি হলে কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে না”।
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার যে আইন রয়েছে তাতে ৭৫ ভাগ উপস্থিত থাকলে একজন শিক্ষার্থীকে কলেজিয়েট বলে গণ্য করা হবে। তবে বিভিন্ন কারণবশত উপস্থিত হতে না পারলে সর্বনিম্ন ৬০ ভাগ উপস্থিত থাকলে জরিমানাসহ তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ৬০ ভাগ এর কম উপস্থিত থাকলে কোন অবস্থাতেই তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বাইরে। যেহেতু ৫১ শিক্ষার্থী ৬০ ভাগ উপস্থিত ছিল না তাই তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More