মাহির স্বামী অপু বৃত্তান্ত (ভিডিও)

0

Mahiya Mahi[ads1]সিলেট:  সব গুঞ্জন মিথ্যে করে বিয়েটা এবার মাহি করেই ফেলেছেন। সকল আনুষ্ঠানিকতাও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পাত্র যেহেতু সিলেটী তাই বাংলামেইলের এ প্রতিবেদক সরেজমিনে সিলেটের কদমতলী এলাকায় মাহমুদ পারভেজ অপুর বাড়িতে যান। সরেজমিন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অপুর পরিচয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাহমুদ পারভেজ অপুর পরিবার স্বাধীনতার আগ থেকেই বিত্তবান। তাঁর দাদা মৃত আব্দুল হামিদ সিলেট অঞ্চলের বিচারক ছিলেন। শুধু বিচারকই নন, দেশের রাজনৈতিক মহলেও তার ছিলে বেশ পরিচিতি। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদের তালিকায় ছিল আব্দুল হামিদের নাম। তিনি এক সময় গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন আব্দুল হামিদ। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকও ছিলেন।[ads2]

আর সেই আব্দুল হামিদের ছেলে হলেন মাহমুদ পারভেজ অপু’র বাবা আব্দুল মান্নান। তিনি বাবা মতো এতোটা সুনাম অর্জন না করতে পারলেও ধরে রেখেছেন বাবা রেখে যাওয়া সম্পত্তির হাল। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন কয়লা আমদানিকারক।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের চার ছেলের মধ্যে অপু দ্বিতীয়। বড় ভাই জাবেদ মাহমুদ টিপু লন্ডন প্রবাসী। তিনি এখনো বিয়ে করেনি। তবে অপুর চেয়ে টিপু এক মিনিটের বড় বলে জানা গেছে। কারণ তারা দু’জনই জমজ ভাই। এছাড়াও আরো দুই ছেলে দেশে লেখাপড়া করছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, নায়িকা মাহিয়া মাহি’র স্বামী মাহমুদ পারভেজ অপুও উচ্চ শিক্ষিত। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা করে দেশে ফিরে বাবা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।

সিলেটের সমভ্রান্ত পরিবারের সন্তান অপু প্রায় চার বছর আগে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে পরিচয় হয়। মাহি সিলেটে স্যুটিং করতে এসে স্বপ্নপুরুষ অপুর সন্ধান লাভ করেন।

এরপর থেকে শুরু হয় ফোন আলাপ। আবার কখনো সরাসরি স্বাক্ষাত। অবশেষে সিলেটী অপুর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতেও বসতে ভূল করেননি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ওই অভিনেত্রী।[ads1]

এদিকে, সিলেট নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলি (মুমিনখলা) এলাকার ‘স্বর্ণশিখা’ (অপুর বাড়ি) বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তাদের বাড়ির অবস্থা এখনো প্রায় জমিদার বাড়ির মতো। বাড়িতে কোন সীমানা প্রাচীর না থাকলে বিভিন্ন প্রকাশ ফলজ ও বনজ গাছ আর বাঁশে বাড়িটি বেষ্টনি দিয়ে রেখেছে।

এছাড়াও বাড়ির ঘরগুলো অনেক পুরোনো। তবে দেখতে অনেক সুন্দর। বাড়ির সামনে রয়েছে বিশাল একটি পুকুর। সেই পুকুর পাড়ে সাড়ি সাড়ি গাছ আর বাঁশ লাগানো রয়েছে। এছাড়াও পুকুরের সিড়ি অনেক পুরোনো। সেটাই জমিদার বাড়ির পুকুরের সিঁড়ির মতো। এমনকি পুকুর পাড় ও বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে অনেকগুলো ফুল গাছ। সেই ফুল গাছগুলোতে অনেক ফুল রয়েছে। [ads1]

[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More