না ফেরার দেশে টি-টোয়েন্টির ‘অগ্রদূত’

0

newzlandঢাকা: মাত্র ১৯ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট দলে অভিষেক হয়েছিল মার্টিন ক্রোর। ১৩ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে কিউইদের হয়ে ৭৭ টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ৪৫.৩৬ ব্যাটিং গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৫৪৪৪ রান। ক্রিকেটের দীর্ঘ ফরম্যাটে কিউইদের পক্ষে সর্বাধিক টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান তিনি (১৭)।

এ ছাড়া ১৪৩টি ওয়ানডে খেলে ৩৮.৫৫ গড়ে করেছেন ৪৭০৪ রান। তার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রয়েছে চারটি সেঞ্চুরি ও ৩৪টি হাফ সেঞ্চুরি। ১৯৯০-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ক্রো। তার অধিনায়কত্বকালে ক্রিকেট বিশ্বে উন্মোচিত হয় নব্য যুগের।

পেস অ্যাটাকে শক্তিশালী দল হয়েও ইনিংসের শুরুটা করতেন স্পিন দিয়ে। দলের মারকুটে ব্যাটসম্যানদের দলের কাজে লাগাতে বেশ পারদর্শী ছিলেন ক্রো। একজন অধিনায়ক হিসেবে দলের হাল ধরার পাশাপাশি প্রয়োজনে চার-ছক্কার ঝড় তুলে ব্যাটিংয়ে এনেছিলেন নতুন ধরন। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চর্চা করে সঠিক স্থানে ফিল্ডারদের সাজাতে পারতেন তিনি।

তার চেয়েও বড় কথা, ক্যারিয়ারে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না খেললেও ক্রিকেট দুনিয়া ক্রোকে চেনেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ‘অগ্রদূত’ হিসেবেই! ব্যাটিং-ফিল্ডিংয়ে তার আগ্রাসী মনোভাবই টি-২০ ক্রিকেটে দারুণ প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ছিলেন ক্রিকেটের সঙ্গেই। আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর টিম ম্যানেজমেন্টের সিইওর দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন একজন সফল ধারাভাষ্যকারও।

ক্যান্সারের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো লড়াই করে হেরে যান ক্রো। মাত্র ৫৩ বছর বয়সেই চলে যান না ফেরান দেশে। তার
পরিবারসহ গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায় নেমে আসছে শোকের ছায়া।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More