যেখানে নারীরা পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে উপভোগ করছেন জীবন! [ভিডিও]

0

image_53572.tallmenইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল এসকর্ট এজেন্সির মালিক নিকোল। এখানে ছেলেদের মতো মেয়েরাও তাঁর ভোক্তা। তাঁদের জন্য তিনি বিলাসবহুল এবং বড় আকারের বাংলো বাড়ির ব্যবস্থা করেন। যেটি শহর থেকে প্রায় মাইল খানেক দূরে। 

ফরাসী বাংলোর মতো দেখতে এসব বাড়ির ভেতরে কী চলছে সেটা বাইরে থেকে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই।

নিকোল বলেন, ‘নারী ক্লায়েন্টরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চান। এটা তাদের নিজস্ব পৃথিবী, এই গোপনীয়তা তাদের জীবনেরই অংশ।’

অতএব, যৌনতার জন্য শুধু ছেলেরাই অর্থ-কড়ি খরচ করে এমন ধারণা এখন অতীত। এক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের মেয়েরা পিছিয়ে নেই। সেখানে মেয়েরাও পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া করে জীবন উপভোগ করছেন।

‘উইমেন হু পে ফর সেক্স’ শিরোনামে বিবিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। সাংবাদিক হান্নাহ বারনেসের ওই ফিচারধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে এমন অনেক নারী আছেন যাঁরা বার কিংবা নাইটক্লাবে গিয়ে পুরুষ সঙ্গী খোঁজা পছন্দ করেন না। 

যৌনতা উপভোগের জন্য তাঁরা ‘এসকর্ট এজেন্সির’ (যৌনকর্মী ও খদ্দেরদের মধ্যস্থকারী প্রতিষ্ঠান) সাহায্য নেন। এসব এজেন্সির কাছে ‘এসকর্ট’ চাইলেই তাঁরা নারী গ্রাহকদের কাছে ‘এসকর্ট’ পাঠিয়ে দেয়।

যেসব নারীর ছেলেবন্ধু বা স্বামী আছে তাঁদের জন্য বারে কিংবা অন্য কোনো প্রকাশ্য জায়গায় অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

নিকোল জানান, ‘তাঁদের জন্য এমন জায়গা দরকার যেখানে প্রতিবেশী বা পরিচিত কেউ তাঁদের দেখে ফেলবে না।’

ছেলে যৌনকর্মীরা জানেন তাঁদের সব নারীভোক্তা অবিবাহিত বা একাকী নন। এমনই একজন বলেন, কিছু নারী মনে করেন যৌনতার জন্য অর্থ ব্যয় কোনো প্রতারণা নয়। এটি প্রেম বা এরকম অন্যান্য সম্পর্কের মতোই স্বাভাবিক ব্যাপার।

জন্মগত প্রতিবন্ধীতার কারনে ক্যাটরিনার কাছে যৌনতা সবসময়ই একটি বিষাদময় ব্যাপার। তিনি বলেন, তিনি কখনো ভাবেননি যে তিনি একজন পুরুষ যৌনকর্মী খুঁজবেন। কিন্তু এখন ক্যাটরিনা ইংল্যান্ডের অন্য অনেক নারীর মতোই একজন যারা অর্থের বিনিময়ে যৌনতা কেনেন।
ক্যাটরিনা বলেন, তাঁর সাবেক প্রেমিকেরা যৌনতা উপভোগ করতে না পারার জন্য যখন তাঁর শারিরীক প্রতিবন্ধীতাকে দায়ী করে একে একে তাঁকে ছেড়ে যান তখন তাঁর আত্মবিশ্বাস চুরমার হয়ে যায়।

ক্যাটরিনা বলেন, ‘যৌনকর্মী অ্যান্ড্রুর কারণে আমার এই ভুল ভাঙে। প্রথম বারের পরই আমি দেখলাম যৌনতায় আমি সম্পূর্ণ সক্ষম। আনন্দময় যৌন অভিজ্ঞতা হলো আমার। সেই সঙ্গে আমার আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসল।’

শুধু যে ক্যাটরিনার মতো শারিরীক প্রতিবন্ধী নারীরা এই ‘সেবা’ নিচ্ছেন তা নয়। অন্যান্য স্বাভাবিক নারীও এই যৌনসেবা নিয়ে থাকেন।

ক্যাটরিনাকে যে যৌনসেবা দিয়েছেন, সেই অ্যান্ড্রু রসেট্টা, তার দশ বছরের যৌনসেবী ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘হোয়াটেভার শি ওয়ান্টস’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন।

পুরুষ যৌনকর্মীরা জানান, নারীরা নানা কারনেই যৌনতার জন্য অর্থ ব্যয় করতে চান।
যৌনতায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া, নতুন পরীক্ষ-নিরীক্ষা করা ইত্যাদি। এছাড়াও ব্যাবসায়ী নারীরা সময়ের অভাবে তাদের স্বামী বা ছেলেবন্ধুর সঙ্গে মিলিত হতে পারেন না। ফলে তারাও এ সেবাটি গ্রহন করেন।


ডেনিয়েল অর্থনৈতিক মন্দার সময়টিতে কিছু বাড়তি টাকার জন্য খণ্ডকালীন পুরুষ-যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তিনি লন্ডনের নামকরা একটি বেসরকারী স্কুলের ছাত্র। আবার অ্যান্ড্রুর মতো কর্মীরা উচ্চ রুচিবোধসম্পন্ন।

কিন্তু এরকম যৌনকর্মী পেতে মেয়েদের কী রকম খরচ করতে হয়? গড়পরতায় ঘন্টায় সর্বনিম্ন ১০০ পাউন্ড।

নিকোল জানান, ইংল্যান্ডে বেকারত্ব সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ঘন্টাপ্রতি ৬০ পাউন্ডে পুরুষ যৌনকর্মী ভাড়া পাওয়া যায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More