সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক কর্মকর্তার করা মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন দুই সাংবাদিক। পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিমল কৃষ্ণ সিকদার মঙ্গলবার তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পটুয়াখালী প্রতিনিধি সঞ্জয় কুমার দাস ও মাছরাঙা টেলিভিশনের মো. জলিল। এর আগে গত ১৯ অগাস্ট এই মামলায় দুই সাংবাদিকের আগাম জামিন আবেদন নাকচ করে জেলার বিচারিক হাকিম তপন কুমার দে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইনজীবী হারুনুর রশিদ জানান, সাংবাদিক দুজনকে কারাগারে পাঠানোর পরদিন জেলা জজের আদালতে একটি জামিন আবেদন করা হয়। পরে ২৬ অগাস্ট মামলার শুনানির দিন ঠিক করে আদালত। মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।
জানা গেছে, পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের অপসারণ করা পুরনো বেইলি ব্রিজের ইস্পাত ও লোহার যন্ত্রাংশ ‘নিলাম জালিয়াতির মাধ্যমে’তিনটি ‘অস্তিত্বহীন’প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির একটি অভিযোগ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন সঞ্জয় কুমার দাস।
অনুসন্ধান চলাকালে গত ২৫ এপ্রিল পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হাসান আল মামুন পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা করেন, যাতে সঞ্জয় ও জলিলসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়।
ওই নিলামের মালামাল বুঝিয়ে দিতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ পাঁচ সদস্যের যে কমিটি করেছিল, হাসান আল মামুন তারই একজন সদস্য। সঞ্জয় কুমার দাসের ওই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে গত ৮ মে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল “অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে সওজের সম্পদ `আত্মসাত’”। এরপর হাই কোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন হয়, যার ভিত্তিতে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিরুদ্ধে পুরনো মালামাল নিলামে বিক্রিতে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
ওই নিলাম প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ।