রাঙামাটি: পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর কাছে টুরিজম হস্তান্তর করার নামে সরকার পার্বত্যবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
বুধবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা এ কথা বলেন। এসময় তিনি ‘টুরিজম ম্যনেজমেন্ট ও ফার্নিচার শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন’ বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
পর্যটন বিভাগ হস্তান্তর প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি উল্লেখ করে সন্তু লারমা বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট ঢাকায় পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর কাছে টুরিজম হস্তান্তরের নামে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা কী ধরনের ট্যুরিজম বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
সরকার উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে ট্যুরিজমকে পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর করেছে দেখিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আইনশৃংখলা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে ট্যুরিজম ব্যবসায় বড় ধরনের ভয়ানক পরিস্থিতি হতে পারে। এ ছাড়া পার্বত্য এলাকায় ফার্নিচার ব্যবসার কারণে পাহাড়ের জীব-বৈচিত্র ও জলবায়ুর অনেকটা পরিবর্তন ঘটেছে। এ বিষয়ে সচেষ্ট না হলে এর নেতিবাচক প্রভাব আরো বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সন্তু লারমা পার্বত্য এলাকায় এগ্রোফুড ও ফার্মাসিউটিক্যাল বিষয়ে জোর দেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আন্তজার্তিক শ্রমজীবী সংস্থা আইএলও এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ২ দিনের এ কর্মশালার আয়োজন করে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, আইএলওর ঢাকাস্থ ডেপুটি ডিরেক্টর মি. গগন রাজ ভাণ্ডারী, বিএসইপি প্রজেক্টের ডেপুটি ডিরেক্টর ফ্রান্সিস ডি সিলভা, জেলা পরিষদ সদস্য বৃষকেতু চাকমা বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় জেলার হেডম্যান, কাব্বারি, হোটেল মালিক, ফার্নিচার ব্যবসায়ী, উন্নয়নকর্মী মিলে মোট ৫০জন অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় ট্যুরিজম ম্যনেজমেন্ট ও ফার্নিচার শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় এবং এই উপস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে অংশগ্রহণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্র ও চ্যালেঞ্জ সমূহ তুলে ধরে সুপারিশমালা প্রণয়ন করেন।