মমিনুল ইসলাম (৩৮) তার স্ত্রী নদী আক্তারকে নিয়ে স্যানিটারি পণ্য কিনতে গিয়েছিলেন রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে। ওই এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এই দম্পতির।
মমিনুল ইসলামের মামাতো ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেসিন ফেটে গেছিল। বেসিনসহ আরও কিছু স্যানিটারি পণ্য কেনার জন্য ভাই ও ভাবি বেরিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা মারা গেলেন।
মমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায়। নদী ইসলামের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে। ঢাকার চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় থাকতেন তারা।
মমিনুল ইসলাম সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামতের কাজ করতেন। তার স্ত্রী নদী আক্তার গৃহিণী ছিলেন। তাদের ৯ বছর বয়সী এক ছেলে ও ১১ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।
বিস্ফোরণে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের খোঁজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে কয়েক শ মানুষ ভিড় করেছেন। কেউ স্বজনের খোঁজ পেলেও দেখতে পারেননি। তাদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ।
মঙ্গলবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা, আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
বিস্ফোরণে নিহত ১৮ জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। লাশগুলো প্যাকেটবন্দী করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে।
jugantor