ফাঁসির সময় স্বাভাবিক ছিলেন নিজামী

0
nizami_127270ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর। তবে ফাঁসির আগে তিনি স্বাভাবিক ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিজামীকে দেখতে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আসেন তাঁর স্বজনরা। এর পর রাত ৯টার দিকে তাঁরা বেরিয়ে যান।

কারাগার সূত্রে জানা য়ায়, রাত ১০টার দিকে নিজামী রুমে গিয়ে গোসল সেরে নেন। গোসল শেষে তিনি নফল নামাজ আদায় করেন। এর পর তাঁকে খাবার দেওয়া হয়। খাবারে ছিল মাছ, মাংস, সবজি ও ডাল। কিন্তু তিনি কোনো খাবার খাননি।

রাত ১১টা ২০ মিনিটে তাঁর কক্ষে কেন্দ্রীয় কারাগারের মসজিদের ইমাম মনির হোসেন প্রবেশ করেন। তিনি নিজামীকে গোসল করার জন্য বলেন। নিজামী জানান, তিনি গোসল করেছেন। ইমাম তওবা পড়াতে চাইলে নিজামী নিজে নিজে তওবা পড়েন। রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে তিন জন জল্লাদ তাঁর কক্ষে প্রবেশ করেন। তাঁরা তাকে প্রস্তুতি নিতে বলেন। এ সময় তিনি কোনো উচ্চবাচ্য করেননি। খুবই স্বাভাবিক ছিলেন।

জল্লাদরা তাঁকে যম টুপি পরিয়ে কক্ষ থেকে বের করেন। হেটে হেটে মঞ্চে যাওয়ার সময় তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। ১১টা ৫৭ মিনিটে তাঁকে মঞ্চে তোলা হয়। এ সময়ও তিনি খুব স্বাভাবিক ছিলেন। মঞ্চে ওঠানোর পর আবার তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখেন সিভিল সার্জন। এর পর ফাঁসির জন্য তাঁকে প্রস্তুত করা হয়। তাঁর ডান পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন জল্লাদ রাজু।

সূত্র জানায়, ১২টা ১০ মিনিটে ম্যাজিস্ট্রেট লাল রুমালটি ফেলে দিলেই নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করেন রাজু। নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসিকাষ্ঠে তাঁকে ২০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। সাড়ে ১২টার সময় ফাঁসিকাষ্ঠ থেকে নামিয়ে তাঁর লাশের গোসল করানো হয়। এর পর কফিন করা হয়। রাত দেড়টার দিকে কারাগার থেকে তাঁর লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স পাবনার সাঁথিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

সুত্রঃ শীর্ষ নিউজ
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More