মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স সীমা ৬০ বছরই থাকছে

0

fighterমুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স ৫ বছর বৃদ্ধি ৬৫ করার প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নাকচ করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ প্রস্তাব নাকচ করা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান।

শফিউল আলম বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিগত সময়ে মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৬০ বছরে উন্নীত করে। তাই বয়স বাড়ানোর বিষয়টি আজকের কেবিনেটে বিবেচিত হয়নি।’

২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৯ নম্বর আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

৬৫ বছর পর্যন্ত বয়স বাড়ানো বিষয়ের একটি প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের জন্য ২০১৫ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি নির্দেশনা ছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সে অনুযায়ী প্রস্তাবটি তোলা হয় আজকের মন্ত্রিসভায়। বিস্তারিত আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি নাকচ করা হয়।’

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করার প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠায়। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ২০০৬ সালের ১২ জুলাই এক স্মারকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের অনুশাসন দেয়।

এ বিষয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন না পাওয়ায় তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন হয়নি। পরে এ বিষয়ে জনৈক মুক্তিযোদ্ধা রিট করেন এবং আদালত রুল জারি করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More