শনিবার থেকে অষ্টম জাতীয় কাব ক্যাম্পুরি

0

coustomsশনিবার থেকে শুরু হচ্ছে অষ্টম জাতীয় কাব ক্যাম্পুরি। দেশের আট হাজার স্কুল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গাজীপুরের মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ ক্যাম্পরি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের কাব স্কাউটদের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান জানান, যাত্রাপথ থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানস্থলসহ পুরো আয়োজনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে তারা (স্কাউটরা) আসবে। বাস, ট্রেন, ফেরি-সব জায়গায় আমরা বলে দিয়েছি। মোটকথা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপস নাই।
আয়োজনের আগের দিন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে মাঠে নিবন্ধন শুরু হবে। পাঁচ দিনের কর্মসূচি শেষে ২৮ জানুয়ারি সকালে স্কাউটরা ক্যাম্পুরি ত্যাগ করবেন।
চলতি বছর বিশ্বজুড়ে কাব স্কাউটিংয়ের শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ায় এবারের সমাবেশকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখছেন আয়োজকরা।
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় স্কাউট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ৮ম জাতীয় কাব ক্যাম্পুরী সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, জাতীয় কমিশনার (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) সরোয়ার মোহাম্মদ শাহরিয়ার, জাতীয় কমিশনার (সংগঠন) আখতারুজ্জামান খান কবির।
‘১১ উল্লাসে শাপলা হবে’
এবারের ক্যাম্পুরিকে ১১ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেগুলোর প্রত্যেকটিতে অংশ নিলে ১১ স্টিকারে শাপলার ছাপ পড়বে কাব স্কাউটদের সনদে।
জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খান বলেন,  শিশুদের উপযোগী করে ১১টি চ্যালেঞ্জিং কর্মকাণ্ডকে আমরা বিন্যাস করেছি। এই চ্যালেঞ্জকে আমরা ‘উল্লাস’ নাম দিয়েছি, ছেলে মেয়েরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব কাজে ব্যস্ত থাকবে। এগুলোকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে শিশুরা মনে করবে, তারা খেলছে। এই খেলার মাঝেই তারা শিক্ষা গ্রহণ করবে। সারা দিন তারা খেলবে, আনন্দ পাবে, বন্ধুত্ব করবে, মজা পাবে। তার মাঝখানে জ্ঞান বাড়াবে।
তিনি বলেন, এখানে ১১ উল্লাসে অংশগ্রহণ করলে প্রতিটিতে সে স্টিকার পাবে, যা একটা সনদে সে সেঁটে দেবে। তাতে সনদে একটা শাপলা ফুল হবে, যার ১১ অংশ হচ্ছে ১১টা স্টিকার। কেউ যদি কোনোটাতে অংশ না নেয়, তাহলে তার শাপলা পূর্ণ হবে না।
প্রধান জাতীয় কমিশনার মোজাম্মেল বলেন, আমরা রাস্তার শিশুদেরকে নিয়েও স্কাউটিং করি। আবার উঁচু তলার বা ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের নিয়েও স্কাউটিং করি। আমরা একটা ইনক্লুসিভ সমাজ চাই। ছোট ছোট অর্জনগুলো আমাদের জাতীয় উন্নয়নের সোপানে নিবেদিত হবে।
শিশুদের সুনাগরিক ও দায়িত্ববান নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে স্কাউটিং ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানকার শিক্ষা, বড়দেরকে মানি, ছোটদেরকে স্নেহ করি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More