বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, পুলিশ বেআইনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে র্যাব ও পুলিশ বেপরোয়া হয়ে উঠছেন বলে দাবিও করেন তিনি।
নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি মিরপুরে বাবুল মাতব্বরের গায়ে অগ্নি সংযোগ করে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান রিজভী।
রিজভী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যরা এখন চাঁদাবাজি, জুলুম, প্রহার, নিরীহ মানুষকে আটক করে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে মামলা দেয়া কিংবা ভয় দেখানো, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, আদায় না হলে হত্যা করার মতো পৈশাচিক অপকর্মে লিপ্ত।
চা-দোকানি বাবুলের মৃত্যু প্রসঙ্গে রিজভী আহমেদ বলেন, বাবুল মাতব্বরের কাছে চাঁদার টাকা না পেয়ে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দগ্ধ করে পুলিশ। গুরুতর দগ্ধ বাবুল মাতব্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে দলের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বিরোধী দল নির্মুল করার অভিযানে লেলিয়ে দিয়ে তাদের বুকের মাপটা বড় করে দেয়া হয়েছে। সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সদা তৎপর র্যাব-পুলিশের সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করা এখন যেন গা সওয়া করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার বিগত কয়েক বছর বিচারবহির্ভূত হত্যা, বেআইনি গুম ও গুপ্তহত্যা সংঘটিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যে ছাড়পত্র দিয়েছিল তাতে তারা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এ জন্য তারা (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) এখন বিবেকহীন অবিশ্বাস্য রকম বেপরোয়া ‘আউট ল’ এ পরিণত হয়েছে।
এদেশে সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ডিভাইসটা এখন ‘আইনের রক্ষকরা ভক্ষকে পরিণত হওয়ার ঘটনায় পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার নিষ্ঠুর ও নির্দয় রক্তপাতের মাধ্যমে গোটা জাতিকে স্থির, নিস্তব্ধ গোরস্থানে পরিণত করতে চাচ্ছে। কারণ, গোটা দেশ এখন অগ্নিগর্ভ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি জনগণের মনের কথা, বেদনার কথা উপলব্ধি করতে না পারেন, তাহলে জনগণের ক্ষোভ যে কোনো মুহূর্তে সুনামীর ন্যায় আছড়ে পড়ে দস্যুদলের ন্যায় আচরণকারী বর্তমান সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
Prev Post
Next Post