আস্থা রাখুন, জঙ্গিরা রেহাই পাবে না

0

hasinaপবিত্র ঈদের দিনে যারা মানুষ হত্যা করে তারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে এ অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আস্থা রাখুন, জঙ্গিরা কোনোভাবেই রেহাই পাবে না।’

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) গণভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে শোলাকিয়ায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উপর সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি ।[ads1]

জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী। জঙ্গিরাই জঙ্গি। এদের কোনও ধর্ম নাই, দেশ নাই। জঙ্গি আর সন্ত্রাসী হিসেবেই এরা দেশের মানুষের কাছে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঘৃণিত বস্তু হিসেবে পরিচিত। এদের ঠাঁই জাহান্নামে হবে। এরা কোনোদিন বেহেশত পাবে না। এটা কোরআন শরীফেরই বিধান। কারণ, নিরীহ ও নিরস্ত্র তথা কোনো মানুষকে হত্যা করা কোরআন সমর্থন করে  না।’

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে সজাগ ও সচেতন হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কিছু হারাবার নেই। অাপনাদের পাশে আছি। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে এসেছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেবো। শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে।’

ইসলামের নামে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অন্য ধর্মের কাছে ইসলাম ধর্মকে অবমাননাকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়া এটা কখনও আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো, সবাই সচেতন থাকেন, নিজেদের ওপর আস্থা রাখেন ও বিশ্বাস রাখেন। আমরা অবশ্যই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী, আমাদের অভিযান সফল হবে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সরকার সবকিছুই করবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’[ads2]

জঙ্গিবাদকে কেউ মদদ দিলে তার দায় তাকেই নিতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলও আমাদের সঙ্গে আছে। সবারই এ বিষয়ে ভূমিকা রয়েছে।  আর যদি কেউ আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রশ্রয় দেয় আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর দায়ভার নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময়ে গ্রাম, ইউনিয়ন, জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে এই বিপথগামীদের চিহ্নিত করে তাদের প্রতিহত করার নির্দেশ দেন। অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্তানদের কেউ যদি বিপথগামী হয়, তাহলে যেন তারা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।’

শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন,আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক,সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, কৃষি ও সময়ায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।[ads1]

সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর প্রধানমন্ত্রী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কূটনীতিক ও বিচারপতিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More