ঢাকা: অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল রহিম কুরেশি দাবি করেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা রামের জন্মস্থান ভারতে নয় পাকিস্তানে।
কুরেশি তার লেখা ‘ফ্যাক্টস অফ অযোধ্যা এপিসোড’ নামের একটি বইতে এ দাবি করেছেন।
কুরেশি বলেন, এক কোটি ৮০ লাখ বছর আগে রামের আবির্ভাব হয়েছিল বলে মনে করা হয়। কিন্তু ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় যেখানে রামের জন্মস্থান বলা হয়, সেখানে বসতি শুরু হয়েছিল ৭শ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে। তাই উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা রামের আসল জন্মস্থান হতে পারে না।
‘অ্যান্সিয়েন্ট জিওগ্রাফি অব দ্য রামায়ণ’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে কুরেশি দেখিয়েছেন অযোধ্যা আসলে দুটি। এর একটির স্থপতি হলেন রামের পিতামহ রঘু এবং অন্যটির স্থপতি রাম নিজেই।
রাম বলেছেন, দুটি অযোধ্যাই পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের (খাইবার পাখতুনখোয়া) ডেরা ইসমাইল খান জেলায় অবস্থিত।
কুরেশির দাবি, ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার প্রাচীনত্বের স্বপক্ষে কোনো শক্ত ভিত্তি নেই। এগারো শতকেই হিন্দুরা এই শহরের নাম অযোধ্যা রেখেছিলেন।
তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, যদি উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদের অযোধ্যায় রামের জন্মস্থান হতো তাহলে অযোধ্যায় বসে লেখা তুলসী দাসের রামায়ণে তার উল্লেখ থাকত। তাছাড়া কোনো মন্দির ভেঙে যদি বাবরি মসজিদ তৈরি হতো তাহলে ১৫৭৪ খ্রিষ্টাব্দে মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে লেখা তুলসী দাসের রামায়ণে তার উল্লেখ থাকত।
কুরেশি তার বইয়ে আরো উল্লেখ করেছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’ খনন কাজ চালিয়েও অযোধ্যার ওই স্থানে অতীতে আগে কোনো মন্দির ছিল এমন কোনো প্রমাণ পায়নি।
প্রসঙ্গত, আব্দুল রহিম কুরেশি মজলিশ-তামির-এ মিল্লাত নামের সামাজিক সংগঠনের প্রেসিডেন্টও। বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্কে তিনি মসজিদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছেন।