কানাডা বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেনি বলে জানিয়েছে ঢাকায় দেশটির হাইকমিশন।
এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশন জানায়, “সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রচেষ্টায় এই তালিকা কানাডার অন্যতম এক হাতিয়ার। তবে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করা হয়নি।”
সম্প্রতি বিএনপির এক কর্মী রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করলে কানাডার আদালত সেটি খারিজ করে। এরপরই সেই রায়ের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে।
যদিও হাইকমিশন আশ্রয় চাওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
হাইকমিশন বলছে, “কানাডার নিয়ম অনুযায়ী কেউ আশ্রয় চাইলে সেটি স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়। সেখানে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে। ফলে কানাডার হাই কমিশন এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারে না।”
সম্প্রতি বিরোধীদল বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিক মোহাম্মদ জিপসেদ ইবনে হকের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজ করেন কানাডার একটি আদালত।
আদালত বলছে, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি প্রোটেকশন অ্যাক্টের (আইআরপিএ) অধীনে নিরাপত্তাজনিত কারণে কানাডার কাছে তিনি অগ্রহণযোগ্য ছিলেন।
এর কারণ হিসেবে আদালত জানান, তিনি এমন একটি সংস্থার সদস্য ছিলেন যারা এমন নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
আইআরপিএ-এর ৩৪(১) (বি) অনুযায়ী, সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জড়িত অথবা সহিংসতা উসকে দেওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
আদালতের বিবরণ বলছে, জিপসেদ হক ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের নভেম্বরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকার কারণে আওয়ামী লীগের নিপীড়ন আতঙ্কে ছিলেন।
এর আগে, ২০১৭ সালের ১২ মে কানাডার আদালত বিএনপির যুবদলের এক নেতার আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, “বিএনপি এমন একটি সংগঠন যা সন্ত্রাসবাদে জড়িত ও সামনেও জড়িত থাকবে।” ওই সময় আবেদনকারী তার নাম রায় থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করেন।
জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে এসব বিষয় উঠে আসছে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে বিরোধ চলছে।
পশ্চিমা দেশগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশন বলেছেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অর্থবহ সংলাপে অবদান রাখার জন্য কানাডা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়েছে।”